২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মিরে গেরিলাদের সাথে সংঘর্ষে ৫ ভারতীয় সেনা হতাহত

-

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গেরিলাদের সাথে সংঘর্ষে ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের এক সদস্য নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান, এক পুলিশ সদস্য ও এক বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।

নিহত কনস্টেবলের নাম পারভেজ আহমদ। গতকাল রোববার শ্রীনগরের বাটামালো এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। গোপন সূত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গেরিলাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে শনিবার রাতে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় লুকিয়ে থাকা গেরিলারা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে গেরিলারা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।

ওই ঘটনায় নিয়াজ আহমদ ভাট নামে এক বেসামরিক ব্যক্তি আহত হওয়ায় তাকে শ্রীনগরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী গেরিলাদের দুই সাহায্যকারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। গোটা এলাকায় গেরিলাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল  সকাল থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মধ্য কাশ্মিরের শ্রীনগর এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত করে দিয়েছে।

এ দিকে, গতকাল  বিকেলে মধ্য কাশ্মিরের বাদগাম জেলায় এক বিস্ফোরণে তিন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী পৌঁছে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।

অন্য দিকে, গতকাল  বিকেলে পুলওয়ামা জেলার এক গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান চালালে স্থানীয় প্রতিবাদী তরুণরা পাথর নিক্ষেপ করে তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে শূন্যে গুলি ছুড়তে হয়েছে।

বারামুল্লাহ জেলার রাফিয়াবাদে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার একদিন পরেই পুলিশ সদস্য হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়িত অঞ্চলগুলোর একটি কাশ্মির। জননিরাপত্তা আইনের নামে সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ধারাবাহিক আটক-গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ২০১৫ সালের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে তখন পর্যন্ত এই আইনের আওতায় ৮ হাজার থেকে ২০ হাজারের মতো মানুষকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযানে প্রাণহানির শিকার হয়েছেন আরো অনেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement