২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৫ বছরেও চালু হয়নি আইসিসিইউ সেবা!

- সংগৃহীত

জনবল সংকটের কারণে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিট (আইসিসিইউ) স্থাপন করার দীর্ঘ ৫ বছর পরও চালু হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের ময়মনসিংহ-ঢাকা ছুটতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ৪ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসিসিইউ কক্ষের উদ্বোধন করেন।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসিসিইউ সেবা চালু থাকলে জামালপুর, কুড়িগ্রাম ও শেরপুর জেলার হাজার হাজার হৃদরোগ, স্নায়ু রোগ ও নিউরোলজী আক্রান্ত রোগীরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যার সুযোগ পেত। এখানের আইসিসিইউ চালু না থাকায় এসব মুমূর্ষু রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা ঢাকায় স্থানান্তর করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকছে না।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান বলেন, সুচিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসিসিইউ স্থাপন করার দীর্ঘ ৫ বছর পরেও তা চালু না হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসিসিইউ চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনেও আইসিসিইউ চালু না হওয়ায় এর মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং স্থানীয়রা যথোপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নারী নেত্রী শামীমা খান বলেন, যখনই কারো হার্টের সমস্যা দেখা দেয় সাথে সাথে তাকে ময়মনসিংহ বা ঢাকায় যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে পোঁছানোর আগেই রোগীরা রাস্তায় মারা যায়। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আইসিসিইউ চালু হয়ে গেলে রোগীরা এখানেই এ ধরনের সেবা পেতে পারতেন।

জামালপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. প্রফুল্ল কুমার সাহা বলেন, কক্ষ নির্ধারণসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্বেও প্রশিক্ষিত জনবল না থাকার কারণে আইসিসিইউ চালু করা যাচ্ছে না।’

‘বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে আইসিসিইউ ইউনিটটি চালু করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে।’ সূত্র : ইউএনবি।


আরো সংবাদ



premium cement