০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুদকের মামলায় শাস্তির হার প্রায় ৭০ ভাগ : দুদক চেয়ারম্যান

-

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদকের মামলায় শাস্তির হার প্রায় ৭০ শতাংশ, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দুদক চেয়ারম্যান গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে দুদক কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ও দুদকের যৌথ উদ্যোগে সাত দিন ব্যাপী মামলা তদন্ত বিষয়ক এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের বড় সমস্যা সক্ষমতার অভাব ও কম জনবল। এ জন্য আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ উইং করেছি। জ্ঞান এমন একটি বিষয় যে উভয় উভয়ের কাছ থেকে শিখতে পারে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি হবে। আমাদের তদন্তের দুর্বলতার কারণে অনেক সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, তদন্ত ঠিক মতো না হলে এবং আদালতে প্রমাণ না করতে না পারলে আদালত অপরাধীকে সাজা দিতে পারে না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব সময় আপনাকে আপডেট থাকতে হবে।
দুদকের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, সমালোচনাকে ভয় পাবেন না, কাজ করলে সমালোচনা হবে। ভালো কাজ দিয়ে সমালোচনাকে জয় করতে হবে।
পুলিশ ছাড়া দুদকের কাজ করা সম্ভব না উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রশিক্ষণ থেকে আপনারা কিছু-না-কিছু শিখবেন এটা আমার প্রত্যাশা। দুর্নীতি চিরতরে দূর করা যাবে না তাই দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত ও অপরাধ দমনে প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিটিটিসি ইউনিট উগ্রবাদ দমনে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটিটিসি ইউনিটের অভিজ্ঞতা ভালো। এই ইউনিটের কর্মকর্তারা দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইতোমধ্যে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।
আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখতে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রতিনিয়ত দেখছি অপরাধীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সেদিক থেকে সিটিটিসি প্রযুক্তির ব্যবহারকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

দুদক ও সিটিটিসির উদ্যোগে আয়োজিত যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালার অর্থায়ন করেছে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’। এ সময় অন্যদের মধ্যে দুদক ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক ও সিটিটিসির উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশেষায়িত তদন্ত বিষয়ক যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালা এক সপ্তাহব্যাপী চলবে। এই কর্মশালায় দুদকের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement