পতনের ভয়ে সরকার আতঙ্কিত : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশান থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দণি বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দেশব্যাপী চলমান পাইকারি মামলা-হামলা-গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গতকাল রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আওয়ামী মহাজোট সরকার এখন পতনের ভয়ে শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। অবৈধ সরকারের নির্মমতায় জনগণ ফুঁসে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ছাত্র রাজনীতি শেষ করার পরে তিনি ক্রমান্বয়ে বর্তমান অবস্থানে থেকে রাজনীতি করছে। একজন সজ্জন, মৃদুভাষী রাজনীতিবিদ হওয়ার পরও শুধু সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। বেশ কিছু মামলায় জামিনের পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে সত্তর থেকে আশিটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা তার বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে বাড়িঘর তছনছ করে দিয়েছে। আমি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।
তিনি বলেন, সরকার প্রস্থানপথ খোঁজার জন্যই সারা দেশে কারাগারগুলোতে বিরোধী নেতাকর্মীদের ঠেসে ঢোকানো হচ্ছে। সারা দেশের কারাগারগুলো রাজবন্দীদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। সরকার টিকে থাকতে কোথাও থেকে কোনো বার্তা পাচ্ছে না। মাঝ দরিয়ায় হাবুডুবু খাওয়া অবৈধ সরকার প্রতিদিন ক্রসফায়ারে হত্যা ও গুমের অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও ুব্ধ জনসাধারণকে বাগে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আবারো জনসমর্থন ছাড়া মতায় থাকতে সরকার চরম অনাচারে লিপ্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, জালজালিয়াতি, মিথ্যাচার ইত্যাদি অবলম্বন করেই সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মেতে উঠেছে। মতা হারানোর হতাশার বিকারেই সরকার মারমুখী হয়ে উঠেছে। কিন্তু এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণের কাছে তাদের অপকর্মের জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।