২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লাল সাগরে দেখা মিললো নীল তিমি

নীল তিমি
সাগরে নীল তিমি। ছবি - সংগৃহীত

লোহিত(লাল) সাগরে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি দেখা পাওয়া গেছে। বর্তমানে নীল তিমি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে দূষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। এবার লোহিত সাগরের জর্ডান এর আকাবা উপকূলের নিকটে প্রথমবারের মতো নীল তিমি দেখা মিলেছে। মিশরের পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহ’র।  

মিশরের পরিবেশমন্ত্রী খালেদ ফাহমি তার ফেসবুকে লিখেছেন, একদল পরিদর্শকে তিমিকে পর্যবেক্ষন এবং ছবি তোলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

নীল তিমিটি উত্তরের ঠান্ডা পানির কারণে স্থান পরিবর্তন করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশমন্ত্রী।

নীল তিমি ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট লম্বা হতে পারে। এই প্রাণীটিকে বর্তমানে ‘বিপন্ন’ প্রাণীর তালিকায় ফেলেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)।

আইইউসিএনের মতে, ১৯৬০ সাল থেকে ব্যাপকভাবে নীল তিমি শিকারের ফলে প্রাণীটি এখন ‘বিলুপ্তির পথে’।

আন্তর্জাতিক তিমি কমিশন নীল তিমি শিকার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু মানুষের খাদ্য হিসেবে নীল তিমিকে এখনো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শিকার করা হচ্ছে।

আরো দেখুন : ময়ূর নিয়ে মহাবিপদ

ময়ূর মূলত এশিয়া অঞ্চলের পাখি হলেও, এখন সে পাখিই সমস্যা হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার শহর ক্যানবেরায়। প্রায় দুই শতাব্দী আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা অস্ট্রেলিয়ায় পোষা পাখি হিসেবে নিয়ে গিয়েছিল ময়ূর। এরপর পেখম মেলা সেই পাখির সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় সবাই। কিন্তু এখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরের বাসিন্দারা বিপাকেই আছেন এই সুদৃশ্য পাখিটিকে নিয়ে।

শহরের মানুষ রীতিমত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন।

বিভক্তির কারণ, শহরে এই পাখি মুক্ত ঘুরে বেড়াবে না কি ফাঁদ পেতে তাদের ধরে মেরে ফেলা হবে- সে নিয়ে!

সম্প্রতি ক্যানবেরা শহরে ময়ূরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।

শহরের সড়কে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা, যখন তখন ঢুকে পড়ছে লোকের বাড়িতে।

শোনা যায়, কিছুদিন আগে স্থানীয় এক লোক তার বাড়ির বাথরুমে ঢুকে দেখে সেখানে দেয়ালে সাঁটানো আয়নায় তাকিয়ে দেখে সেখানে একটি ময়ূর।

এছাড়া পাখির ডাকে, বিশেষ করে তাদের ডিম পাড়ার মৌসুমে, অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে শহরের বাসিন্দারা।

সেই সাথে লোকজনের শস্য ও সবজিও খেয়ে ফেলছে।

তাছাড়া বড় সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের গাড়ির চালকদের প্রায়ই মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়।

শহরে অন্য পাখিদের থাকার ও ডিম পাড়ার জায়গাতেও ঢুকে পড়ছে ময়ূর।

এসব কারণে নগর কর্তৃপক্ষ একটি আইন প্রস্তাব করেছে যেখানে বছরে অন্তত একবার একটি ফাঁদ পাতা কর্মসূচি নেয়া হবে, যাতে ময়ূরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়।

আর প্রস্তাবিত এই আইনের পক্ষে সমর্থনের অভাব নেই।

কিন্তু বাধ সেধেছে শহরের বাসিন্দাদের আরেকটি অংশ।

তারা বলছেন, এই পাখিরাও এ শহরেরই বাসিন্দা, ফলে তাদের মেরে ফেলার এই সিদ্ধান্ত হবে নির্মম ও অমানবিক।

অনেকে একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করেন।

অনেকে যুক্তি দিচ্ছেন, বাড়ির চারপাশে বা সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাশে পাশে ময়ূর হাঁটছে এটিই যেন তাদের চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন তার অন্যথা তারা চান না।

ময়ূরের সংখ্যাধিক্য নিয়ে সমস্যার শুরু ২০০৩ সাল থেকে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার অন্য শহরে ময়ূরের সংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যা সামলাতে কর্তৃপক্ষ আরো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

যেমন ব্রিসবেনে কেউ ময়ূর পুষতে পারবেন না, এমন ধরণের আইন করতে যাচ্ছে। অন্যথায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

এখন ক্যানবেরা শহরবাসীদের প্রতিবাদে ময়ূরের ভাগ্য বদলায় কি-না সেটাই দেখার বিষয়।


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল