২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আর কখনোই পরমাণু চুক্তিতে জড়াবে না ইরান

- সংগৃহীত

নতুন করে ইরান আর কখনোই পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। তেহরান টাইমস জাভেদকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমরা কোনোভাবেই পরমাণু ইস্যুতে নতুন চুক্তিতে কারো সাথে সমঝোতা করব না। জারিফ বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। এর আগে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয়টি রাষ্ট্রের সাথে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি করে ইরান। সেই চুক্তির ফলে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল ইরান।

তবে সম্প্রতি কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ট্রাম্প ডিল’ নামে নতুন একটি পরমাণু চুক্তির কথা সামনে এসেছে। বিষয়টি টেনে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন সেটাও যদি করা হয়, এরপর ‘ওয়ারেনস ডিল’ কিংবা ‘বার্নি স্যান্ডারস ডিলও’ আমাদের করতে হবে। আমাদের সাথে এর আগের চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ ছিল। সেই চুক্তি থেকে কেবল মার্কিনিরাই বেরিয়ে গেছে, যা কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

অন্য দিকে, জারিফের বরাত দিয়ে ডেইলি পাকিস্তানের এক খবরে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইরান। ভারতের মুম্বাইয়ে এক সভায় দেয়া বক্তব্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেহরান এই অঞ্চলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। জারিফ বলেন, ইরান হরমুজ উপকূলীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে প্রস্তাবও উপস্থাপন করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সাথে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে নিজেদের বের করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে তেহরানের তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর পরপরই এই দুই দেশ মধ্যকার সম্পর্কে এক বৈরিতা দেখা দেয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।

ইরানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলোÑ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান)। মূলত সেই চুক্তির ফলে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি থেকে বারবার সরে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল ইরান।

অপর দিকে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

গত শনিবার জাভেদ জারিফ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার রাজনীতি করার যে কোনো প্রয়াসের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতিকরণ এড়িয়ে চলা উচিত।’ সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গত কিছুদিন যাবত ওয়াশিংটনকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান। অবশেষে বুধবার ভোর রাতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তারা। এরপর থেকেই পরমাণু হামলার বিষয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ট্রাম্প ডিল’ নামে নতুন একটি পরমাণু চুক্তির কথা সামনে এসেছে। সূত্র : টাইমস নাউ ও আউটলুক ইন্ডিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না

সকল