২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডিআরইউ মিট দ্য রিপোর্টার্স

নিজেদের কারণেই বিএনপির রাজনৈতিক বিপর্যয় : তথ্যমন্ত্রী

-

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নিজেদের কারণেই বিএনপির রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে। গত ১০ বছরে বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করেনি। তারা নিজেদের ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তারা এ কয়েক বছরে খালেদা জিয়ার মুক্তি, দণ্ডিত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো, নিরপেক্ষ সরকার এসব ইস্যু নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল। এগুলো জনকল্যাণভিত্তিক বা জনগণের বিষয় নয়।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, দফতর সম্পাদক জেহাদ হোসেন চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য মহিউদ্দিন, খালিদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ নঈমুদ্দিন, রাশেদুল হক, শাহাবুদ্দিন মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে দলটি নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করেছে, তারা জনগণের ভালোবাসা পেতে পারে না। তারা এসব স্বার্থসিদ্ধির জন্য পেট্রলবোমা হামলাসহ আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে। জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের দাঁড় করিয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সরকার সাংবাদিকদের পেশাগত প্রসার ও দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকদের যেসব উদ্বেগের জায়গা রয়েছে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। অনলাইন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন গঠনের পর অনলাইন নিবন্ধনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করাসহ অনলাইন গণমাধ্যম বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেবে সরকার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নবম ওয়েজবোর্ড দ্রুত কার্যকর করা হবে। আমি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর বিষয়টি এগিয়েও গেছে। এ-সংক্রান্ত নতুন মন্ত্রিসভা কমিটি হবে, এ কমিটি প্রধানমন্ত্রী করে দেবেন। তার পর কমিটির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। ওয়েজবোর্ড নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে বসব। সাংবাদিক নেতাদের সাথেও কথা বলব, যা করার দ্রুত শেষ করে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে।
টেলিভিশনকে ওয়েজবোর্ডে কবে আনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে টেলিভিশনকে ওয়েজবোর্ডে আনা প্রয়োজন। একসময় হয়তো দরকার হয়নি, কিন্তু এখন ৩০টির বেশি টেলিভিশন, আরো আসতে পারে। টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের গুরুত্ব বিবেচনায় ওয়েজবোর্ডে আনা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার অগ্রগতি এবং তাদের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট যারা কাজ করছেন তাদের সাথে আলোচনা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। গণমাধ্যম যদি স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে সমান্তরালে কাজ করে, তাহলে এ মাধ্যমকে আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউরোপ-আমেরিকার গণমাধ্যমের লেভেলে নিয়ে যেত পারব।

 


আরো সংবাদ



premium cement