যশোরে-৩ আসনে এক সপ্তাহে আড়াইশ নেতা আটক
- যশোর অফিস
- ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৫
২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে যশোর বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতাকে আটক করার পর বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে শুধু যশোর-৩ আসন এলাকা থেকেই বিএনপির প্রায় আড়াইশ’ পদধারী নেতাকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা এখন আটক এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দফায় দফায় লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অমিত বলেন, গত সপ্তাহে যখন আমি এখানে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম, আমার ডানে-বায়ে অনেক নেতা-কর্মীদের আপনারা দেখেছিলেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই দেখতে পাচ্ছেন আজকের সংবাদ সম্মেলনে আমি ও আমার স্ত্রী ছাড়া ডানে-বায়ে কেউ নেই। অমিত বলেন, আমার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে গত দুই-তিন দিনের মধ্যে জেলে ঢোকানো হয়েছে। বাকিরা আটক হয়োর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমার পোলিং এজেন্টদের চিঠিতে স্বাক্ষর করার মতো নেতাও এখন আর বাইরে নেই।
তিনি বলেন, প্রশাসন যেভাবে ভোট করছে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী দেয়ার দরকার ছিল না। কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিয়েও পাস করাতে পারতো। যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব আয়োজন বাদ রেখে আসুন। যশোরের প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ওয়ার্ডে, গ্রামে গ্রামে প্রমাণ করে দেবো কার জনপ্রিয়তা বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী অমিতের স্ত্রী সোহানা পারভীন বলেন, আমি মঙ্গলবার যশোর শহরের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগে গিয়েছিলাম। সেখানে ঘরের মধ্যেও নারীরা আমার সাথে ফিসফিস করে কথা বলেছে। ঘরের বাইরে আমাদের সাথে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
সোহানা বলেন, আমরা জানি, সবাই টের পাচ্ছে, সাংবাদিকসহ সবাই এখন ফিসফিস করে কথা বলছে, লিখছে। সরকার পুরো জাতিকেই ফিসফিসানির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যশোর সদর আসনের সাবেক এমপি তরিকুল ইসলামের ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি দলের খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা