২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড্রাগন চাষে রুহুল আমিনের সাফল্য

কৃষক রুহুল আমিন। - ছবি: নয়া দিগন্ত

ড্রাগন ফল চাষ করে প্রথম বছরেই সফলতার দেখা পেয়েছেন উপজেলার বিষ্ণুপুরের মুকুন্দপুর গ্রামের গহর আলী মোড়লের পুত্র রুহুল আমিন মোড়ল (৫২)। তিনি জানান, উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চমূল্য ফসলজাত প্রচলন প্রদর্শনীর আওতায় পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এনজিএফ এর সহযোগিতায় ৮শতাংশ জমিতে বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) জাতের চাষ শুরু করেন। সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে ১৫ মাসের মধ্যে মাত্র ২০টি গাছ থেকে ১৫০-১৭৫টি ফল পেয়েছেন। যার গড় ওজন ৩০০ গ্রাম, পেয়েছেন উচ্চ বাজার মূল্যও।

সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির উচ্চ মূল্যের ভিনদেশি ১.৫ থেকে ২.৫মিটার লম্বা ক্যাকটাস জাতীয় এ ফলটি নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তিনি আরও ৩৩ শতাংশ জমিতে এই ফল চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পরিকল্পনা রয়েছে বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদের। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন আগ্রহী ড্রাগন চাষে। পানি জমে না এমন উচ্চ যেকোন মাটিতে চাষযোগ্য রপ্তানী ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় এ ফলটি ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে প্রথম বাংলাদেশে আমদানী করা হলেও এখন পর্যন্ত এর চাষাবাদ ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়নি। বানিজ্যিক ভিত্তিতে সফলভাবে চাষ করার জন্য বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা), বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) পাওয়া যায়। এছাড়াও হলুদ ও কালচে লাল জাত রয়েছে।

বছরের যে কোন সময়ে চারা রোপণ করা যায়। তবে চারা রোপণের মাস খানেক পূর্বে গর্ত তৈরী করে প্রয়োজনীয় জৈব রাসায়নিক সার দেওয়া উত্তম। এটি দ্রুত বর্ধনশীল। এক বছরের মধ্যেই ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরী করতে পারে। রোগবালাই পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের ১টি গাছে ৫ থেকে ২০টি এবং পূর্ণ বয়স্ক গাছে বছরে ২৫-১০০টি ফল পাওয়া যায়। গাছের পূর্ণতা পেতে ৩ বছর সময় লাগে। অপর সম্ভাবনাময় এ ফলটি চাষাবাদ স¤প্রসারিত হলে কৃষকসমাজ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি জানান, ড্রাগন ফল চাষের ব্যাপারে কৃষক সমাজের মাঝে তেমন ধারণা নেই। এটা লাভজনক। এজন্য আস্তে আস্তে ড্রাগন চাষে কৃষক আগ্রহী হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি এব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement