২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে নিহত ৩, আহত ২

বজ্রপাতে নিহত বিলকিস খাতুন ও ময়না খাতুন - নয়া দিগন্ত

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বজ্রপাতে অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী এবং আশাশুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো দু’জন। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার চাম্পাফুলে ও আশাশুনির কাপসন্ডায় এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

কালিগঞ্জে বজ্রপাতের ঘটনায় নিহতরা হলো চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাইহাটি গ্রামের বিল্লাল হোসেন খানের মেয়ে বিলকিস খাতুন (১৪) ও চাম্পাফুল গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে ময়না খাতুন (১৪)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শিক্ষার্থী উপজেলার বালাপোতা গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী রুবিনা পারভীন (১৫) ও তারালী ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী সুলতানা (১৩) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

স্থানীয়রা জানান, চাম্পাফুল আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার ছাত্রী বিকেল ৪টার দিকে প্রাক্তন শিক্ষক জগন্নাথ মন্ডলের বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার সময় বৃষ্টি শুরু হলে তারা চাম্পাফুল দীঘির পাড়ে অবস্থান নেয়। এসময় বজ্রপাত হলে চার ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিলকিস খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর তিন ছাত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে ময়না খাতুনও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বজ্রপাতে দুই ছাত্রী নিহত ও দুই ছাত্রী আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রায় একই সময়ে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা এলাকায় মাছের ঘেরে বজ্রপাত হলে আবু বক্কর গাজীর ছেলে তাছের গাজী (৩০) নিহত হন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বজ্রপাতে তাছের গাজীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement