আবারো বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল বার্মিংহামের এডজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের অষ্টম খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে ভারতের বিপক্ষে জিততেই হবে মাশরাফি বাহিনীকে। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করতে পারে ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি। ঐ বিশ্বকাপে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিলো টাইগাররা। বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে হার বরণ করতে বাধ্য করেছিলো। আর ঐ হারেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পথে ছিটকে পড়ে ভারত।
পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় ভারতই। মাশরাফির পেস তোপে শুরুতেই পা পিছলে যায় ভারতের। ২১ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। দু’টি উইকেটই নেন মাশরাফির। এরপর ভারতের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে ফেলেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক। ৩টি করে উইকেট নিয়ে ভারতের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন রাজ্জাক ও রফিক। এতে বড় স্কোরের আশা শেষ হয়ে যায় ভারতের। পরে ভারতের টেল-এন্ডারে আরও দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ১৯১ রানেই গুটিয়ে দেন মাশরাফি। এমনকি পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি তারা।
পরবর্তীতে ১৯২ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনজন ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরি করেন। মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল। মুশফিক অপরাজিত ৫৬, সাকিব ৫৩ ও তামিম ৫১ রান করেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেই জয় তুলে নিয়েছিলো ভারত।
কিন্তু এরপরের দু’দেখাতে আর পেরে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ওপেনার বিরেন্দার শেবাগের ১৪০ বলে ১৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৮৭ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। সেটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ছিলো।
এরপর ২০১৫ সালে মেলবোর্নে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হয় বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচেও লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০৯ রানে ম্যাচ হারে টাইগাররা।
ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় পেয়েছে ৫টিতে, হেরেছে ২৯টিতে। সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো গেল বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে। লিটন দাসের সেঞ্চুরির পরও ৩ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ওপেনার হিসেবে ১১৭ বলে ১২১ রান করেছিলেন লিটন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা