২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোববার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি

-

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামিন আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। আবেদন উপস্থাপনের সময় আদালত বলেন, এটা কী? জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন। এ সময় আদালত বলেন, এই আদালতে এসেছেন কেন? এর আগে আমরা জামিনের আবেদন খারিজ করেছি। এরপর আপনারা আপিল বিভাগে গেলেন। আপিল বিভাগও আমাদের আদেশ বহাল রেখেছেন। এরপরও কেন এসেছেন?
তখন খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একবার খারিজ হলে নতুন গ্রাউন্ডে বারবার আসতে আইনে তো বাধা নেই। সে সুযোগ তো রয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) গুরুতর অসুস্থ। তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আখতারুজ্জামান, সগীর হোসেন লিয়ন, গোলাম আকতার জাকির প্রমুখ।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নতুন করে জামিন আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নততর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন।
গত ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৩১ জুলাই এ মামলায় হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক।
অন্য দিকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আরও একটি মামলায় জামিন নেয়ার প্রয়োজন হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে। এই মামলায় নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়, যা আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ১২ মার্চ : বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর শুনানির এ দিন ধার্য করেন। বুধবার আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১২ মার্চ ধার্য করেছেন বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া জানান।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদি হয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।


আরো সংবাদ



premium cement