০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এলাচের কেজিতে বাড়ল ৬০০ টাকা

-

হঠাৎ উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলাজাতীয় পণ্য এলাচ। পর্যাপ্ত জোগান থাকার পরও খুচরা বাজারে হঠাৎ এই পণ্যটির দাম কেজিতে প্রায় ৬০০ টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে এলাচের কেজিতে মূল্য বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচের মূল্য ছিল দুই হাজার ৪০০ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। বাংলা ট্রিবিউন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এলাচের মূল্য এমনিতেই চড়া থাকে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, এ সময়ে বিয়ে, মেজবান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খাবারের অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেন। ব্যবসায়ীরা আরো বলছেন, এখন মূলত এলাচের মূল্য বেড়েছে ভারতে এই পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে। মসলার পাইকাররা জানান, ভারতের কেরালায় গত বছরের বন্যা ও এ বছরের খরায় এলাচের উৎপাদন ব্যাপক কমেছে। এ ছাড়া দেশটিতে সম্প্রতি ঝড়ে এলাচসহ প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে এলাচের বড় রফতানিকারক দেশ গুয়েতেমালার ওপর চাপ পড়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এই পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে এলাচের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও দাম বেড়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলাচের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভারতেও এলাচের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে পাইকারি বাজারে এলাচের মূল্য কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
এ দিকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ নভেম্বর প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৪০০ টাকায়। আর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে অর্থাৎ গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকায়।
টিসিবির তথ্য বলছে, দুই দিনের ব্যবধানে এই পণ্যটির মূল্য বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রতি কেজি এলাচের মূল্য ছিল এক হাজার ৫৫০ থেকে দুই হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে এই পণ্যটির মূল্য বেড়েছে ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘এলাচের মূল্য এভাবে যারা বাড়িয়েছেন, তারা মূলত অতি মুনাফাখোর।’ তার মতে, ‘বাজারে কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা যে যার মতো যেকোনো পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে ভোক্তাদের সমস্যা হলেও তারা (ব্যবসায়ীরা) ঠিকই পার পেয়ে যাচ্ছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement