নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সহায়তার ওপর গুরুত্ব দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি এ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী একাধিক ফোরামের সভায় যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সাথে বৈঠক করবেন। এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন তিনি। নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আওতায় ভারত অর্থনীতি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর দিল্লি যাবেন। ৩ ও ৪ অক্টোবর এ সম্মেলন চলবে। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এ বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতোপূর্বে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। এ ছাড়া সন্ত্রাস দমন, কানেক্টিভিটি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণ এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ কাশ্মির ইস্যুকে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় দিল্লি বেশ স্বস্তিতে আছে। জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় আনার পর ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশের একটি, যারা কাশ্মির ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কেননা ভারত বিষয়টিকে সেভাবেই দেখতে চায়। অন্য দিকে ঢাকা সফরকালে আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুটি ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সে দিক থেকে স্পর্শকাতর এই ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশও খানিকটা স্বস্তিতে রয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় সফর ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের বৈঠকের সাইডলাইনে নিয়মিতই বৈঠক করছেন। জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ অন্যান্য ফোরামে একে অপরকে সমর্থন দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের বোঝাপড়াও চমৎকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা