২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সন্ত্রাসীদের গুলিতে টেকনাফে যুবলীগ নেতা নিহত

-

টেকনাফে ওমর ফারুক (৩০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ফারুক ওই এলাকার মো: মোনাফ কোম্পানির ছেলে। তিনি হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওমর ফারুককে
তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে ফারুকের স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা লাশ আনতে বাধা দেয়। পরে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত এ বি এম এস দোহা জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ দিকে যুবলীগ নেতা ওমর হত্যার প্রতিবাদে সড়কে নেমে এসেছে হাজারো মানুষ। তারা গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের জাদিমুরা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা হত্যাকারী রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলম, ইউএনও মো: রবিউল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবুল মনসুর, থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ র্যাব-পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কে এই ফারুক : ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংস ঘটনার পর যখন প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে, তখন অন্যান্য মানবদরদিদের মতো ওমর ফারুকও রোহিঙ্গাদের মুখে খাবার তুলে দিতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু দুই বছর পর এসে সেই রোহিঙ্গারাই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওইদিন রাতে নিহত যুবকের বাড়ির সামনে থেকে ফিল্ম স্টাইলে তুলে নিয়ে যান রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা। খবর পেয়ে ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার লাশ আনতেও বাধা দেয়। আমির হামজা জানান, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে অন্যদের মতো আমার পরিবারও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসছিল। আমার ভাই ফারুক রাতদিন পরিশ্রম করে অনেক রোহিঙ্গাদের সাহায্য করেছেন। অথচ আজ সেই রোহিঙ্গারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement