২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার

-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে দুইটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত এই দুইটি কমিটি গঠন করে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, লেখক, শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, নাট্যজন, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে জাতীয় কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বাস্তবায়ন কমিটিতেও বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তা, লেখক, শিল্পী, নাট্যশিল্পী, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন।
বাস্তবায়ন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দুইটি কমিটিকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
জাতীয় কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদন করবে এই কমিটি। এই কমিটি ‘জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবে।

অপর দিকে বাস্তবায়ন কমিটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত সার্বিক পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও বাজেট প্রণয়ন এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে। জরুরি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় কমিটির সভাপতির সরাসরি অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরে জাতীয় কমিটির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়াও এই কমিটি প্রয়োজনে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন ও সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement