আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে এখন পর্যন্ত মনোনয়নের নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসিয়ালি তালিকা ঘোষণা না করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত জোটের মনোনীতপ্রার্থী কেউ দাবি করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনের জন্য জোটগতভাবেই দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কবে নাগাদ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে পারেÑ সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দুই দিন বলিনি, চার-পাঁচ দিন বলেছি। ইসিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর। এর আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। আমরা তালিকা দেয়ার আগে অনেকেই মনগড়া তালিকা প্রকাশ করে দিচ্ছে, যা বাস্তবসম্মত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে’Ñ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত। আগুন সন্ত্রাস, বাস পোড়ানো, ভূমি অফিসে আগুন, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এগুলো তাদের কাজ! তারা এগুলোর সাথে জড়িত। এ জন্য গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোনো নিরপরাধীকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। কাদের বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এরা কি একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা! কোনো প্রার্থীকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছেÑ এটা প্রমাণ করুণ। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এখানে ভিকটিম হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিডিও কলে সাক্ষাৎকার নেয়া নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকেও একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কোনো অপরাধী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন কিনা- সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতিকার না পেলে আমরা জনতার আদালতে বিচার দেবো।
নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর বিএনপি পরিবেশ নষ্ট করছে, এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একটি দল নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করছিল। শিডিউল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রদান পর্যায়ে তারা পরিকল্পিতভাবে মনোনয়ন সংগ্রহের নামে সারা দেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ২০ জনের মতো পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা