প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর চুল কেটে নিয়েছে রফিকুল(১৫) নামে এক বখাটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর এলাকার গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্বদ্বিপেশর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে রফিকুল স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ নানোভাবে উত্যক্ত করত।
কিন্তু ছাত্রীটি তার এসব প্রস্তাবে সাড়া দিত না। এরই ধারাবাহিকতায়. ওই দিন দুপুরে স্কুলে যাওয়ার সময় রফিকুল আবারো তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো কাচি দিয়ে তার চুলের নিম্নাংশ কেটে নেয় ওই বখাটে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন রফিকুলকে আটক করে। পরে প্রভাবশালীরা এসে স্থানীয় লোকজনকে মারপিট করে রফিকুলকে জোড় করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরাফাতুল ইসলাম পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে রফিকুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ছাত্রীর চুল কেটে নিল বখাটে ( পুরনো নিউজ)
নাটোর, তারিখ: ২২-০৭-২০১২
স্কুল থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীর চুল কেটে নিয়েছে এক বখাটে যুবক। ২০১২ সালের ২২ জুলাই বিকেলে নাটোরের সদর উপজেলার ঠান্দাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
নাটোরের নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পাটুল হাফানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে ঠান্দাবাড়ি এলাকায় বখাটে আতিকুর তার পথরোধ করে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার কিছু চুল কেটে ফেলে।
সঙ্গে থাকা ওই ছাত্রীর এক বান্ধবী জানায়, ওই ছাত্রীর চুলে দুটি বেণি করা ছিল। আতিকুর হঠাত্ কাঁচি দিয়ে তার বান্ধবীর চুল কেটে নিয়ে পালায়। এ সময় তাদের চিত্কারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। পরে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। ঘটনাটি আতিকুরের পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ছাত্রীর পরিবারকে চাপ দেয়।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আতিকুরের পরিবার ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জড়িত। প্রথমে গ্রামের অনেকে এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজিত হলেও তাদের চাপের মুখে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাধ্য হয়ে আমি নলডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছি।’
স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেব জ্যোতি বলেন, ‘ওই ছাত্রীর ওপর হামলাকারী যে দলের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। নইলে আমরা ওর বিচার করব।’
এদিকে অভিযুক্ত আতিকুর রহমান ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও সে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়, ‘আমি ওর চুল কাটিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, অভিযুক্ত আতিকুর রহমান পিপরুল গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা