২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বিলম্বিত

-

পদ্মায় তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের কারনে ব্যাস্ততম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ফেরি লঞ্চ চলাচল বিলম্বিত হচ্ছে। অপরদিকে যমুনায় তীব্র স্রোতে ঠেলে আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ-স্পিডবোট, নৌকা চলাচল করছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় গতকাল শুক্রবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন চাপ বৃদ্ধিতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে। রাতের বেলায় বহরের অধিকাংশ ফেরি চলাচল না করায় কাংক্ষিত সংখ্যক যানবাহন পারাপার হচ্ছে না। ফলে উভয় ঘাটে পন্যবাহী ৭ শতাধিক ট্রাকসহ অসংখ্য যাত্রীবাহী পরিবহন পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে। এতে যাত্রীসাধারণ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা চরম দুর্ভোগ পোহায়। এদিকে, যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ দশমিক ৩ সেমি স্তরে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, বহরের ১৭টির মধ্যে ‘শাপলা শালুক’ নামে ইউটিলিটি ফেরি বিকল রয়েছে। এছাড়া, সন্ধা মালতীসহ একই ধরনের ২/৩টি ফেরি রাতে বন্ধ থাকে। যদিও একটি মহল এ নিয়ে নানা গুজব রটাচ্ছে। তবে, হয়রানী লাগবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস-কোচ, মাইক্রো-প্রাইভেটকার পারাপার করা হচ্ছে।

আটকে পড়া বাস চালকরা জানান, বেশ কিছু দিন যাবৎ এ রুটে ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটায় কাংক্ষিত সময়ে কেউ গোন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা। এতে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাতœক বিপর্য ঘটছে।

পারের অপেক্ষায় আটকে পড়া পণ্যবাহী ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফেরি কর্মকর্তারা রাতের বেলায় কম সংখ্যক ফেরি চালিয়ে উভয় ঘাটে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করছে। সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ দু’ঘাটে যানবাহন চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি কর্তৃপক্ষ বাড়তি আয়ের আশায় কৃত্রিম যানজট সৃস্টি করে। পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন চাপ বৃদ্ধির সুযোগে সিরিয়াল ও বুকিং কাউন্টারে দায়িত্বরত একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও চিহ্নিত দালাল চক্র প্রকাশ্যে হর-হামেশা গাড়ী প্রতি ৫/৭শ’ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রত্যহ অবৈধ এ আয়ের পরিমান প্রায় দেড় লাখ টাকা। যার ভাগ পৌছে অনেক মহলে। যার ফলে ‘অনিয়ম যেন নিয়মে’ পরিনত হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ঘাট সংশ্লিষ্ট জনৈক কর্মকর্তা নাম পদবী প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বহরের সব গুলো ফেরি চালু থাকলে এ রুটে প্রত্যহ প্রায় ৩ হাজার গাড়ি পারাপার করা সম্ভব। অথচ, প্রায়শই বহরের ৪/৫টি ফেরি যান্ত্রিকক্রুটি দেখিয়ে ভাষমান কারখানায় নোঙ্গর করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা পয়েন্ট গেজ রিডার আলমগীর হোসেন জানান, উজানে পানি বৃদ্ধির প্রভাবে এ পয়েন্টে গত ৩ দিনে ১৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরোও কয়েক দিন এ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement