২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

একত্রিশ.

ওটা দিয়ে তাকালে দূরের মরুভূমির অনেকখানি চোখে পড়ে। হোটেলের সুন্দর বাগানটা তো মনে হয় হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে।
‘মালপত্র রেখে চলো এখন আমাদের বাসায়,’ টিনা বলল। ‘কাছেই বাসা। কয়েক মিনিটের পথ।’
টিনাদের বাড়িটা সিমেন্ট আর লাল মাটি দিয়ে তৈরি। একপাশে পাথরের সিঁড়ি উঠে গেছে ছাতে। তিন ফুট উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছাতটা। টিনা বলল, ‘ওই ছাত থেকে যা সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় না, বিশেষ করে রাতে।’
বাইরে থেকে বাড়িটাকে যতই আদিম মনে হোক, ভেতরে একেবারে আধুনিক ইউরোপিয়ান সাজে সাজানো। ডক্টর দিশাউ ও মিসেস দিশাউ ছেলেদের অপেক্ষাই করছিলেন। টিনা এত সুন্দর হয়েছে কেন বুঝতে পারল রেজা। মা-বাবা দুজনেই সুন্দর। বাবা প্রাচ্যের লোক, মা ফরাসি।
পরিচয়ের পালা শেষ হলে হেসে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর দিশাউ, ‘টিনা কি তোমাদের বলেছে, আমার বাড়ি ইন্দোনেশিয়ায়?’
‘না,’ সুজা জানাল।
‘ও, এ জন্যই আমাদের দেখে অবাক হয়েছ তোমরা।’
টিনার মতোই তার মা-বাবাকেও প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে গেল ছেলেদের।
সোনালি চুল মাথার পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে আঁট করে বেঁধেছেন মিসেস দিশাউ। হেসে বললেন, ‘দাঁড়িয়ে কেন, বসো।’ কথায় কড়া ফরাসি টান। টিনার চেয়ে অনেক বেশি। আলাপ-আলোচনা চলল। ছেলেদেরকে অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করলেন ডক্টর দিশাউ। বাড়ির কথা জানলেন। তারপর এলো কাজের প্রসঙ্গ। কোনো কথাই গোপন করল না রেজা। গুপ্তধন আর টিকিট জালিয়াতি, দুটো কেসের কথাই খুলে বলল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement