০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

সাতাশ.

কাঁটায় কাঁটায় ১০টায় হাজির হলো টিনা। ওরা ট্র্যাভেল এজেন্সির অফিসে গিয়েছিল শুনে অবাক হলো। বলল, ‘নিশ্চয় কোনো কুমতলব করেছে। ক্যাসাব্ল্যাংকা থেকে এখনি তোমাদের চলে যাওয়া উচিত। মারাকেশে গেলে অতটা ভয় আর থাকবে না। আমার বাবা প্রভাবশালী মানুষ। সাসমান হোটেলে রুম বুক করে রেখেছি তোমাদের জন্য। ম্যানেজার আমাদের পরিচিত। তার কাছ থেকেও সুবিধা পাবে।’
হোটেল ছেড়ে দিলো ওরা। রেল স্টেশনে এলো। ট্রেনে চড়ে সিট বেছে নিয়ে বসল। একটু পরেই ছেড়ে দিলো ট্রেন। মরুভূমির মধ্য দিয়ে ছুটে চলল। পূর্ব দিকে এগোচ্ছে।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছেলেরা। টিনা বলল, ‘দেখার কিছু নেই এখানে।’
মাইলের পর মাইল চলে গেছে একটানা একঘেয়ে মরুভূমি। মাঝে সাঝে সরে যাচ্ছে বালির ঢিবি, খেজুর গাছ, উট, ছাগল ও রুক্ষ পোড়ো চেহারার খামারবাড়ি। দু-তিন একর জায়গাজুড়ে তৈরি বাড়িগুলো।
ঘণ্টা দুই পর একজন ফেরিওয়ালা এসে ঢুকল ওদের কামরায়। স্যান্ডউইচ আর কোক বিক্রি করছে।
‘যাক, এলো তাহলে,’ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল নেড। ‘আমি তো ভেবেছিলাম কোনো দিনই আসবে না।’ সবার জন্য খাবার কিনল সে।
রেজার পাশে সরে এলো টিনা। ফিসফিস করে বলল, ‘উল্টোদিকের সাদা পোশাক পরা লোকটাকে দেখো।’
আস্তে করে মুখ ঘুরিয়ে লোকটার দিকে তাকাল রেজা। ‘যে লোকটা স্যান্ডউইচ খাচ্ছে?’
‘হ্যাঁ। ডান হাতটা দিয়ে কী করছে দেখো।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement