২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বাইশ.

‘আমি জানি কেন আসত,’ রেজা বলে উঠল। ‘জগন্ময় জানে, হিরণ কুমার এখনো বেঁচে আছেন!’
‘পাগল হয়ে গেলে নাকি!’ মনি চাচী বললেন।
চুপ হয়ে গেল রেজা। আর কিছু বলল না।

প্রফেসরকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গেল সবাই।
তিনি চলে যাওয়ার পর বাড়িটা আবার নীরব হয়ে গেল। রেজা-সুজাকে তাগাদা দিলেন মনি চাচী, ‘যাও, রাত হয়েছে। শুয়ে পড়ো।’
সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে সুজা বলল, ‘কত আজব ঘটনাই না ঘটে পৃথিবীতে। ভালোই হলো। নাটকের জন্য চমৎকার আরেকটা গল্পের প্লট পেয়ে গেলাম।’
‘তোমার এই নাটকের কথা দয়া করে বাদ দেবে এখন! ভাল্লাগছে না আর!’
চুপ হয়ে গেল সুজা। সেদিন আর ক্যামেরা নিয়ে বসল না।
ঘরে ঢুকেই শুয়ে পড়ল রেজা। ক্লান্তি লাগছে। ভীষণ ক্লান্তি। কিন্তু স্নায়ুর উত্তেজনা কমছে না। পুরো রহস্যটার সমাধান না করে যেন আর স্বস্তি নেই।
সেদিনও ঘুমাতে দেরি হলো। ভোরের দিকে ঘুম এলো। দুঃস্বপ্ন দেখল, কে যেন জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে লোকটার। বাঁচার জন্য টেনে টেনে শ্বাস নিচ্ছে। লাফাতে লাগল কাটা পাইপটা। নলের মাথায় ছড়ছড় করতে থাকল বিদ্যুতের স্ফুলিঙ্গ। ধীরে ধীরে এমন করে থেমে গেল শ্বাসকষ্টের শব্দ, মনে হলো, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল একজন মানুষ!
চমকে জেগে গেল রেজা। সারা গায়ে ঘাম।
ভোরের আলো ফুটতে দেরি নেই। জানালা দিয়ে কিচিরমিচির শব্দ আসছে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement