জা না-অজানা টিকার কথা
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ছোট্ট বন্ধুরা,
তোমরা গতকাল জেনেছ, এডওয়ার্ড জেনার ভাবলেন, মানুষের শরীরে হওয়া গোবসন্তের গুটির রস যদি অন্য মানুষের শরীরে দিয়ে দেয়া যায় তাহলে হয়তো তার আর গুটিবসন্ত হবে না। আর এই ধারণা থেকেই তিনি ১৭৯৬ সালে সেই বিখ্যাত পরীক্ষাটি করেন। গোবসন্তে আক্রান্ত এক গোয়ালিনীর শরীরের গুটি থেকে তিনি বের করে নিলেন একটু রস। তারপর সুই দিয়ে আঁচর কেটে সেই রস ঢুকিয়ে দিলেন এক সুস্থ বালকের শরীরে। পরে সেই সুস্থ বালককে আনা হলো গুটিবসন্তে আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে। আশ্চর্য! ছেলেটির গুটিবসন্ত হলো না। এডওয়ার্ড জেনার আবিষ্কার করে ফেলেন গুটিবসন্ত প্রতিরোধের টিকা। সেই থেকে টিকা আবিষ্কারের যাত্রা শুরু। এরপর ১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর আবিষ্কার করেন র্যাবিস বা জলাতঙ্ক রোগের টিকা। তারপর একে একে পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, হাম, জার্মান মিজল্স, গলা ফোলা বা মাম্পস, ধনুষ্টঙ্কার, জলবসন্ত, হেপাটাইটিস বা জন্ডিস, মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড, কলেরা, পীত জ্বর, ইত্যাদি অনেক রোগের প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কার হয়। এডওয়ার্ড জেনারের আবিষ্কৃত গুটিবসন্তের টিকা দিয়ে ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে মরণব্যাধি গুটিবসন্তকে নির্মূল করা সম্ভব হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা