২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পা পু য়া নি উ গি নি র রূ প ক থা

বনের অদৃশ্য ভূত

-

(গত দিনের পর)
হিমেল আতঙ্ক গায়ে কাঁটা দেয়। এমন নিশুতি রাতে একা একা থাকলে কেমন যেন ভয় হয়।
ওইদিকে ছেলের চোখ জড়িয়ে আসছে ঘুমে; কিন্তু ঘুম আসছে না। অজানা আশঙ্কায় গা কাঁপছে তার। হঠাৎ মনে হলো, ঘুমিয়ে পড়লে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। যদি কোনো দৈত্য দানো কিংবা ভূত এসে পড়ে, হামলা চালায়, তাহলে? কে তাকে রক্ষা করবে? ওকে একা আর ঘুমন্ত পেয়ে খুব সহজেই ঘাড় মটকে দেবে। এই মুহূর্তে বাবা তো অনেক দূরে। তার কানে কোনো হাঁক-চিৎকার পৌঁছবেই না। মরণ তাহলে অনিবার্য।
সাত-পাঁচ এসব কথা সে ভাবে। ভেবে ভেবে শিউরে ওঠে। চোখের ঘুম উবে যায় নিমেষে। কিসের ঘুম, কিসের কী? আগে তো জান বাঁচানো। বেঁচে থাকতে পারলে এক সময় ঘুমানো যাবে। তা আজ হোক বা কাল হোক। ছেলেটি এসব ভাবে আর ভয়-তরাস বেড়ে যায়। বুক ধড়ফড় করে। ঘুমালেই কম্ম কাবার। সুতরাং ঘুম গোল্লায় যাক। শুধু শুধু দৈত্যের পেটে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। ছেলে করে কী, অস্থায়ী ডেরা ছেড়ে পথে নামে। বাবা যে পথে গেছে, সেদিকে এগোতে থাকে। চুপচাপ, নিঃশব্দে পা টিপে টিপে সামনে যেতে থাকে সে। বেশ কিছুক্ষণ পর বাবার হদিস পাওয়া গেল। যাক বাবা!
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement