২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জা পা নি লো ক কা হি নী কুমির ও সাদা খরগোশ

-

কুমির বলে, এ কাজটি আমার কাছে পানি-ভাত খাওয়ার মতো সোজা। ইনাবা দ্বীপটি আর কতটুকুই বা দূর!
খরগোশ বলে, তাহলে দেখিয়ে দাও। দেখি কেমন মুরোদ তোমার। ইনাবা দ্বীপ কি এতই নিকটে মনে করছো? দুই দ্বীপ বরাবর লম্বালম্বি হয়ে দেখাও তো। আমি গুনে গুনে দেখব তোমার কতগুলো বন্ধু আছে?
কুমির বলে, ঠিক আছে। ঠিক আছে। কালকেই আমি তোমাকে প্রমাণ করে দেখাব। কাল সাগরের সব কুমিরকে ডেকে আনব আমি। তারপর এই দ্বীপ থেকে ওই ইনাবা দ্বীপ পর্যন্ত লম্বা হয়ে ভেসে থাকব। তুমি গুনে গুনে দেখবে।
খরগোশ বলে, আচ্ছা আচ্ছা, সে কথাই রইল। কালই প্রমাণ হবে। এ কথা বলে খরগোশ এক লাফে দিলো ছুট। দৌড়ে সে চলে গেল ওকি দ্বীপের সেই টিলার ওপর। সেখানে তার গর্ত করা বাড়ি। এতক্ষণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। গর্তে যেয়ে বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়ে খরগোশটি।
ওকি দ্বীপের মাঝখানে উঁচু টিলার মতো জায়গাটা। তার ওপরে একটি বড় পাথরখণ্ড। সেই পাথরখণ্ডের নিচে শান্ত উষ্ণ জায়গায় গর্ত করে বাসা বানিয়েছে খরগোশটি। এটাই তার বিশ্রামের জায়গা। যখন প্রচণ্ড রোদ ওঠে অথবা প্রবল বৃষ্টি নামে, তখন এই উঁচু টিলার গর্তে গিয়ে শুয়ে থাকে সে। ওকি দ্বীপে কোনো গাছপালা নেই। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement