০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চৌদ্দ.

পাথরের মতো কঠিন হয়ে উঠেছে মুরাদ সাহেবের চেহারা। থমথমে কণ্ঠে বললেন, ‘ওকে ঠেকানো দরকার! নইলে মহাবিপদে ফেলে দেবে মানুষকে।’

রেডের কেবিনে বসে আছে ক্যাথি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিদ্রায় চেহারা বিধ্বস্ত। চোখের কোণে কালি। গোয়েন্দাদের দেখেই বলে উঠল, ‘কোনো উন্নতি হয়নি। মাঝে মাঝেই প্রলাপ বকছে এখনো।’
রেডের বিছানার পাশে বসলেন মুরাদ সাহেব। কোমল, মৃদুকণ্ঠে কথা বলার চেষ্টা করলেন তার সঙ্গে। কিন্তু রেডের তরফ থেকে কোনোরকম সাড়া পাওয়া গেল না। কিছু জিজ্ঞেস করলে বিড়বিড় করে অর্থহীন প্রলাপ বকতে থাকে। হাল ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন মুরাদ সাহেব। ছেলেদের বললেন, ‘চলো, ডক্টর জেনের সঙ্গে কথা বলি।’
‘তুমি যাও, বাবা,’ রেজা বলল। ‘আমি আর সুজা থাকি। রেড কিছু বললে টেপে তুলে নেব।’
দীর্ঘ একটা মুহূর্ত ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মাথা ঝাঁকালেন মুরাদ সাহেব। ক্যাথিকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করে বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে।
টেপ রেকর্ডারের রেকর্ড বাটন টিপে দিয়ে যন্ত্রটা রেডের মাথার কাছে রাখল রেজা। সোফায় এসে বসল সুজাকে নিয়ে। রেড এখন শান্ত। বিড়বিড়ও করছে না।
অপেক্ষার মুহূর্তগুলো ভীষণ পীড়াদায়ক মনে হচ্ছে দুই গোয়েন্দার কাছে। পনেরো মিনিটের মাথায় টেলিফোন বাজার তীক্ষè শব্দে চমকে গেল ওরা। লাফ দিয়ে উঠে গিয়ে রিসিভার তুলল সুজা।
‘বিচ্ছুরা নাকি?’ ভেসে এলো একটা কর্কশ রুক্ষ কণ্ঠ।
‘কে বলছেন?’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement