০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

নয়.
‘আরে, তোমরা,’ গমগম করে উঠল নেডের বাবা মিস্টার ব্রাউনের কণ্ঠ। ঘরে ঢুকলেন তিনি। পেছনে নেডের আম্মা। তিনি জানতে চাইলেন, ‘রেড কেমন আছে?’
আরেকবার সব বলতে হলো রেজা-সুজাকে। মাথা নাড়তে নাড়তে মিস্টার ব্রাউন বললেন, ‘ভালোয় ভালোয় সেরে উঠলেই হয় এখন।’
‘বাবা,’ শীলা জিজ্ঞেস করল, ‘আমাদের পাশের বাড়ির গিমলার ম্যানশনে নাকি নতুন লোক এসেছে, জানো নাকি কিছু?’
‘না তো। কে বলল? কেউ আসুক, আমিও চাইছিলাম। পড়শি থাকলে ভালোই। অবসর সময়ে গিয়ে গল্প করা যায়।’
‘আড্ডা দেয়ার লোক না ওরা, যদ্দূর বুঝলাম,’ সুজা বলল। যে ছেলেটার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ওদের, তার আচরণের কথা খুলে বলল সে।
চিবুকে হাত বোলালেন মিস্টার ব্রাউন। ‘ওর কথায় আমি কিন্তু আপত্তি করার মতো কিছু দেখছি না। বাড়ির সীমানা থেকে অপরিচিত মানুষকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করতেই তো পারে।’
নীরবে কেক খেয়ে যাচ্ছে নেড। প্লেট থেকে আরেক টুকরো তুলে নিতে নিতে বলল, ‘ও হ্যাঁ, বাবা, কুত্তাগুলোর বাড় বেড়েছে। আজ ভেড়ার খোঁয়াড়ের কাছে ওগুলোর পায়ের ছাপ দেখে এলাম।’
‘উঁচু করে বেড়া দিয়ে রেখেছি, ভেতরে ঢুকতে পারবে না,’ মিস্টার ব্রাউন বললেন। ‘তবে সাহস সত্যিই বেড়ে যাচ্ছে ওগুলোর।’
‘কুকুর তো আপনি ভালোবাসেন, আঙ্কেল,’ সুজা বলল।
‘বাসি, কিন্তু গত কয়েক বছরে এখানে যে দলটা বেড়ে উঠেছে, ওদেরকে পছন্দ করার কিছু নেই। বনের মধ্যে শুরুতে দু-তিনটা কুকুর গিয়ে ঢুকেছিল। ওগুলোর মনিব নিশ্চয় ভালো লোক ছিল না। মারধর করত, খাবার দিত না, সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিল ওরা। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement