২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

সাত.
জোসি চুপ। তাকিয়ে আছে রেজা-সুজা। রাস্তা দখল করে রেখে নিজেকে শক্তিমান প্রমাণের চেষ্টা করছে টেড। তবে জোসি বুদ্ধিমান। এ মুহূর্তে কিছু বলার অর্থ ঝগড়া বাধানো। সেটা এড়াতে চাইছে সে। ইডিটারোড রেসের আগে মারামারি করে কুকুরগুলোর ক্ষতি করতে রাজি নয়।
বারো ফুটের মধ্যে চলে এলো টেড। হাত তুলে তাকে থামার ইশারা করল জোসি। সামনের দিকে নজর টেডের। জোসিকে দেখেও না দেখার ভান করল। স্লেজের হুস হুস শব্দ তুলে পাশ কেটে বেরিয়ে গেল।
‘এত অভদ্র তো দেখিনি!’ রেগে গেল সুজা।
‘সাবধান করতে চেয়েছিলাম ওকে, যাতে পাতলা বরফে না ওঠে,’ গম্ভীর শোনাল জোসির কণ্ঠ।
‘উঠুক। ঠাণ্ডা পানিতে পড়লে বুঝবে মজা,’ রেজা বলল। ‘মরবে না, কী বলো? সুজা তো বেঁচে গেল।’
‘এখনো পুরোপুরি বাঁচিনি,’ পরিস্থিতি হালকা করার জন্য হাসল সুজা। ‘কাপড়ই শুকায়নি ঠিকমতো। আরাম পাচ্ছি না।’
স্লেজটা রাস্তায় তুলল জোসি। আবার ছুটল।
শহরটা নজরে আসতেই গতি বেড়ে গেল কুকুরগুলোর। লেজ নাড়াও বেড়েছে। শক্তিশালী পেশিতে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে।
নদীতীরের রাস্তা ধরে দলটাকে ছুটিয়ে নিয়ে এলো ডায়মন্ডহার্ট। কেনলের কাছে এসে থামল।
লাগাম খুলতে জোসিকে সাহায্য করল দুই গোয়েন্দা। কুকুরগুলোকে খাবার আর পানি দিলো জোসি। তারপর রেজা-সুজাকে নিয়ে ঘরে ফিরে চলল।
কেবিনের কাছাকাছি প্রায় চলে এসেছে ওরা, হাত তুলল সুজা, ‘মুন না?’
জোসি বলল, ‘কিছু হয়েছে!’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement