২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

ডলফিন ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়

-


ডলফিনের অনুভূতি অবাক করার মতো। এদের মধ্যে মানুষের মতো ভালোবাসা আছে। আছে বন্ধুত্ব।
লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
ডলফিন কী? সাগরের প্রাণী। ধারণা করা হয়, বুদ্ধির বিচারে মানুষের পরই ডলফিনের স্থান। এ প্রাণীর শরীর ও মগজের অনুপাত মানুষের কাছাকাছি। একদল মানুষের বিশ্বাস, ডলফিনের পূর্বপুরুষেরা একসময় বাস করত স্থলে। পরে এরা এক অজানা কারণে সাগরের পানিতে বাস করা শুরু করে।
ডলফিনের একটি বৈশিষ্ট্য মানুষকে অবাক করেÑ এ প্রাণী যেকোনো বিষয়ে মানুষের মতো ভাবতে পারে আর সে ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। অনেক বিষয় এটি বেশ দ্রুত রপ্ত করতে পারে, শিখতে পারে। মানুষ ছাড়া কোনো প্রাণীই ডলফিনের মতো শিখতে পারে না। এ বিষয়ে খেলার কথা উল্লেখ করা যায়। এ প্রাণী খেলতে খুব পছন্দ করে, অনেক খেলাই সহজে শিখতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশেই ডলফিনের খেলা শেখানোর স্কুল আছে। এ স্কুল মানুষই গড়ে, মানুষই পরিচালনা করে।
ডলফিনের অনুভূতি অবাক করার মতো। এদের মধ্যে মানুষের মতো ভালোবাসা আছে। আছে বন্ধুত্ব। কোনো ডলফিন আহত হলে অন্যেরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। বাচ্চা জন্মদানের পর মা ডলফিন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়। প্রথম দুই সপ্তাহ আধা ঘণ্টা পরপর দুধ খাওয়ায়। বাচ্চাকে কয়েক সপ্তাহ মা-ডলফিন নিজের কাছে রাখে। বাচ্চারা শিকার করা রপ্ত করলে ছেড়ে দেয়।
শত শত বছর ধরে ডলফিন মানুষের উপকার করে আসছে। কোনো নতুন নাবিক দূরের অচেনা দ্বীপে পৌঁছানোর জন্য গাইড হিসেবে ব্যবহার করে ডলফিনকে। এসব নাবিক এতে সফলও হন।
ডলফিন প্রায় দুই দশমিক ৫০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজন হয় প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম। ডলফিনের প্রধান খাদ্য মাছ। একটি ডলফিন এক দিনে প্রায় ৩০ কেজি মাছ খায়। মাছ শিকারে এটি দক্ষ।
বিশ্বের অনেক সাগরের মতো আমাদের বঙ্গোপসাগরেও অনেক ডলফিন আছে।


আরো সংবাদ



premium cement