মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি, গায়ে পতাকার রঙ করা পোশাক আর হাতে পাকিস্তানের পতাকা। ক্রিকেট বিশ্ব পাকিস্তানী চাচা এবং জলিল চাচা হিসেবে তাকে চেনেন। চাচা বলে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম চৌধুরী আবদুল জলিল।
তবে তার পরিচিতি কিন্তু এর চেয়েও অনেক বেশি ওপরে। ১৯৮০ সালের শারজাহ কাপ চলছে তখন। সে সময় ট্রাকচালক ছিলেন আবদুল জলিল। নিজের যতটা ক্ষমতা আছে তাই দিয়েই দেশের পক্ষে উন্মাদনা দেখান তিনি। সমর্থন করেন পকিস্তান ক্রিকেট দলকে। তার উৎসাহ দেখে পিসিবি এক সময় পাকিস্তানের প্রতিটি ম্যাচে মাঠে আসতে অনুরোধ করে তাকে। অবশ্য মাঝখানে পিসিবি টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় আবদুল জলিলকে। তবে তাতে দমে যাননি আবদুল জলিল। ঠিক খেলার সময় মাঠে এসে চিত্কার করে গিয়েছেন তিনি পাকিস্তানের পক্ষে।
পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক, ত্রিদেশীয়, বিশ্বকাপসহ সব ধরনের টুর্নামেন্টে দলের সঙ্গে মাঠে উপস্থিত থাকেন এই ক্রিকেট চাচাও।
বিশ্বকাপের বাকি আর কয়েকদিন। নিজ দেশের ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে হয়তো জলিল চাচাও ইতোমধ্যে তার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন।
পাকিস্তানের সব ধরনের সিরিজের জন্য জলিল চাচার টিকেট থেকে শুরু করে তার যাবতীয় সকল খরচ বহন করে থাকে বোর্ড। এবার বিশ্বকাপেও চাচাকে দেখা যাবে নিজ দেশের পতাকা হাতে গ্যালারী মাতাতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা