২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকার কী পদক্ষেপ নেয় দেখে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট রূপপুর বালিশকাণ্ড

-

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের জন্য বালিশসহ আসবাবপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন হাইকোর্ট। তাই মামলার শুনানি হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন আদালত।
রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির ঘটনায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্য দিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
এর আগে গত ২ জুলাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের করা দু’টি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং ওই প্রতিবেদন অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসাথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র বিশ্বস্ততার সাথে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
রিটের বিবাদিরা হচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকোশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ওইসব প্রতিবেদনে রূপপুর ‘বালিশকাণ্ড’-এর ঘটনায় ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকার গরমিল এবং গণপূর্তের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
গত ১৯ মে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।


আরো সংবাদ



premium cement