২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিপুল পরিমাণ জাল রুপিসহ গ্রেফতার ৩

-

রাজধানীর রামপুরায় একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল রুপিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম খসরু, আবদুর রহিম, জনি ডি কস্তা। গতকাল পলাশবাগ মোড়ে ওই বাড়ির আট তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান ও তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ৫০০ ও ২০০০ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট সাড়ে ১৯ লাখ জাল রুপির নোট ও জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, একটি লেমিনেটিং মেশিন, জাল রুপি তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কালি, সিকিউরিটি সিলসংবলিত স্ক্রিন বোর্ড, গাম ও ভারতীয় জাল রুপি বানানোর জন্য ব্যবহৃত সিল মারা ফয়েল পেপার উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
গোয়েন্দাদের দাবি, আসন্ন কোরবানির ঈদে ভারত থেকে পোশাক ও কোরবানির গরু আমদানির কাজে কৌশলে জাল ভারতীয় রুপি পাচারের উদ্দেশ্যে সক্রিয় হচ্ছিল এ চক্রটি। ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল পলাশবাগের মোড়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ৯ জুলাই রামপুরার উলন রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩৭ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল বাংলাদেশী টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। সেখানে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় রুপি তৈরিতে ব্যবহৃত বিশেষ ফয়েল পেপারের সূত্র ধরে এই জাল ভারতীয় রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, সামনের কোরবানির ঈদে পোশাক ও গরু আমদানির কাজে জাল ভারতীয় রুপি সরবরাহের উদ্দেশ্যে সক্রিয় হয় এই জালিয়াত চক্রটি। চক্রটির মূল নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম খসরু। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ এবং প্রস্তুতকৃত জাল ভারতীয় রুপি দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোরের আগ্রহী ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার দায়িত্ব ছিল তার। যদিও আসল ভারতীয় রুপির সাথে এই চক্রের প্রস্তুতকৃত জাল রুপির স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান থাকায় তাদের চালান ফেরত আসে প্রথম দিকে। এর ফলে আরো সুচারুরূপে সুক্ষ্মভাবে প্রায় নির্ভুলভাবে জাল রুপি বানানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। এ কাজে কারিগর হিসেবে কাজ করত আব্দুর রহিম ও জনি ডি কস্তা।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় জাল নোট-সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে তারা আবারো নোট জালিয়াতির কাজে লিপ্ত হয়। এ ছাড়া তাদের অন্যান্য সহযোগীকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না সালমান-শাকিবের পর এবার জয়কে টার্গেট!

সকল