২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সড়ক অবকাঠামোর পর্যালোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী

কারো না কারো স্বার্থে বিটুমিনের রাস্তা হচ্ছে

-

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সড়কের মান বিদেশের মানে করতে হবে। বিটুমিনের রাস্তা টিকবে না। দুনিয়াতে কোথাও বিটুমিনের রাস্তা নেই। অথচ এ দেশে কারো না কারো স্বার্থেই বিটুমিন দিয়ে রাস্তা করা হচ্ছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান। আর সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে সড়কের যে উন্নয়ন হচ্ছে তা টেকসই নয়। এ থেকে কোনো সুফল আসছে না। এর কারণ, আমাদের এেেত্র কারিগরি চিন্তার ঘাটতি রয়েছে। রাস্তায় পানি জমে থাকে, যানগুলোকে ওভারলোডিংয়ের অনুমতি দেয়া হয়। ফলে রাস্তাগুলো অতি লোডে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কে গতকাল সড়ক ও জনপথ অধিদফতর আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় তারা এই অভিমত জানান। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো: নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সওজ’র পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। বক্তব্য দেন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, বুয়েটের পুরাকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শামসুল হক, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন, সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রওশন আরা খানম, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পানি বিটুমিনের শত্রু। পানির সাথেই আমাদের সবসময় বসবাস। আমাদের ২০ বছর মেয়াদি কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করতে হবে। প্রথম ১০ বছর কংক্রিট সড়কে হাতই দিতে হবে না। খরচের বিষয়ে এলে হয়তোবা প্রথমদিকে কংক্রিটের রাস্তায় খরচ বেশি পড়তে পারে। কিন্তু টেকসই হিসাবে সেই খরচ বিটুমিনের চেয়ে অনেক কম হবে এবং মানুষের জীবনে শান্তিতে ফিরে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে একটি সুদূরপ্রসারী নকশা তৈরি করতে হবে, যেটি বাস্তবায়নে পরে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। ২০ বছর মেয়াদি রাস্তা নির্মাণ করতে পারে এমন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
ড. শামসুল হক বলেন, আমাদের রাস্তা ব্যয়বহুল। কিন্তু টিকে না। আমাদের চার লেনের মহাসড়কে থেমে থেমে ধুঁকে ধুঁকে যাচ্ছি। এটা উন্নয়ন নয়। আর আমরা যাকে মহাসড়ক বলছি আসলে সেটা মহাসড়ক নয়। মহাসড়ক মানে যেখানে গাড়ি একটানে চলে যাবে। তিনি বলেন, সব চাপ আমরা সড়কের ওপর ফেলছি। সড়ক, নৌ ও রেলের মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে। সড়কের ওপর চাপ কমাতে হবে।
আইএমইডি সচিব বলেন, আমাদের আগামী ৫০ বছরের চিন্তা মাথায় রেখে মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। যেকোনো কাজে নজরদারি প্রয়োজন। দুর্নীতিকে কমিয়ে আনতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, ওভারলোডিং বন্ধ করতে কঠোর আইন করতে হবে।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, রাস্তায় দু’লেন হলে যথেষ্ট, কিন্তু মানুষের হাঁটাটা আনন্দদায়ক হতে হবে।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, দু’একজন ঠিকাদারের ওপর আমরা বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ট্রাকের সাথে বাতা দিয়ে উঁচু বানিয়ে বেশি করে পণ্য বোঝাই করা হচ্ছে। বিআরটিএ বা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কি এসব দেখছে না?

 


আরো সংবাদ



premium cement
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না সালমান-শাকিবের পর এবার জয়কে টার্গেট!

সকল