মৌলভীবাজার শহরে জলাবদ্ধতা
হাওরের পানি নামতে শুরু করেছে- মৌলভীবাজার সংবাদাদাতা
- ২২ জুন ২০১৮, ০০:০০
মৌলভীবাজার শহর থেকে বানের পানি নেমে গেছে। বাড়ইকোনা ভাঙনের পাশে সদর উপজেলার নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এতে পৌরসভার ৬ নম্বর ওর্য়াডের ২৫-৩০টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এ দিকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কালাইর গুল কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন দিয়ে কাওয়াদীঘি হাওরে পানি প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। এ দিকে মনু প্রকল্পের সেচ পাম্প চালু থাকায় হাওরের নিচু এলাকার পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।
কুসুমবাগ এলাকার ভুট্টু মিয়া জানান, শহরের হিলালপুর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের প্রসারিত কালর্ভাড না থাকায় দ্রুত পানি নামছে না। এসব এলাকার পানি ধীরগতিতে নি¤œাঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এলাকার শিপলু মিয়া, বদরুল হোসেন বলেন এ জলাবদ্ধতায় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৫-৩০টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান এই বন্যায় শহরের বন্যাকবলিত ৬, ৮, ও ৯ নম্বর ওর্য়াডের ঢাকা-সিলেট (মৌলভীবাজার শহরের দর্জিমহল থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত) প্রায় সব সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। উপজেলা পরিষদের সামনের আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশের বড় ধরনের ভাঙা রয়েছে। বন্যায় সেন্ট্রাল রোড, বড়হাট বাঁধের উপরের সড়ক, জাহাজঘাট সড়ক, বড়কাপন রাস্তা, হিলালপুর খিদুর রাস্তা, বড়কাপন স্কুল সড়কসহ বন্যাকবলিত তিনটি ওয়ার্ডের সবক’টি সড়কের ব্যাপক তি হয়েছে। জলাবদ্ধতার ব্যাপারে মেয়র বলেন, পানি পুরোপুরি নিষ্কাশন হতে আরো একটু দেরি হবে। হাওরাঞ্চলের বাবর মিয়া ও লিটন মিয়া জানান গতকাল বিকেল থেকে হাওর জনপদের পানি নামতে শুরু করেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনগর উপজেলার কালাইর গুল কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন মেরামত প্রায় শেষ হয়ে গেছে এখন আর হাওর কাওয়া দীঘিতে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করছে না। তিনি আরো বলেন কাশিমপুরে মনু প্রকল্পের সেচ পাম্পগুলো সক্রিয় থাকার কারণে নিয়মিত পানি সেচ দেয়ায় হাওর জনপদ আপাতত বিপদমুক্ত।
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা সঙ্কট। বন্যাদুর্গতরা চরম দুর্ভোগের শিকার। চার দিকে শুধু নেই আর নেই। তাদের সব কেড়ে নিয়েছে আকস্মিক বন্যা। গ্রামের পর গ্রাম গ্রাস করেছে বানের পানি। তাই প্লাবনের পানিতে ঘরবাড়ির মতো তলিয়ে গেছে বিশুদ্ধ পানির উৎস নলকূপ (টিবওয়েল) এমনকি পুকুরও। এ দিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রশাসন ঘোষিত মেডিক্যাল টিম দেখা যাচ্ছে না। কিছু সংগঠন নিজ উদ্যোগে বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। রোগবালাই থেকে রা পেতে ও আগাম সতর্ক থাকতে পানি ফুটিয়ে কিংবা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে তা জীবানুমুক্ত করে পান করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
১৩ জুন দুপুর থেকে এ জেলায় আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগের সূচনা। প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর বাঁধ ভাঙে পরে মনু নদীর বাঁধ ভেঙে কুলাউড়া, রাজনগর, জুড়ী, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্লাবিত হয়। বন্যাকবলিত শহর ও গ্রামের বেশির বাগ এলাকাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তেমনি গোসল, রান্নাবান্না ও প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহারের জন্য মিলছে না পানি। তা ছাড়া টয়লেট ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগের অন্ত নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা