২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাস্তা পাকা করার পরপরই উঠে গেলো পিচ!

রাস্তা পাকা করার পরপরই উঠে গেলো পিচ! - নয়া দিগন্ত

রাস্তা পাকাকরণের দুই দিনের মধ্যেই কার্পেটের মতো উঠে গেছে পিচ ঢালাই। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে সদ্য পাকা রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামে।

গত ১৪ মে মঙ্গলবার সেখানে রাস্তা পাকা করতে পিচ ঢালাই দেয়া হলেও ১৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে জুতার সাথে পিচ ঢালাই রাস্তা উঠে আসতে দেখেন এলাকাবাসী। তবে রাস্তা পাকাকরণের ঠিকাদার মোঃ সুমন প্রধানীয়া বলেন, এলাকার কিছু লোকজন ‘হাত দিয়ে’ ঢালাই করা পিচ উঠিয়ে ফেলেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের মনপুরা গ্রামের ভেতরে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের টেন্ডার হয় ২০১৫ সালে। শুরু থেকেই অভিযুক্ত ঠিকাদার সুমন প্রধানীয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। নিম্নমানের ইট সামগ্রী দিয়ে কাজ করেন এ ঠিকাদার। ঐ ভাবেই রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হয় প্রায় দুই বছর। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন পথচারীরা।
এলাকাবাসী জানান, মন্থরগতির এই কাজে ব্যবহৃত হয় নিম্নমানের ইট-বালু ও পাথর। রাস্তার দু’পাশের রেলিংয়ের ক্ষেত্রে নম্বরের ইট ব্যবহারের বদলে ব্যবহার করা হয় পিকেট, মাটি দিয়ে যা দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। পিচ ঢালাই দেয়ার আগে রাস্তা পাকাকরণে বিটুমিন না দিয়ে পিচ ঢালাই করেন ঠিকাদার।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। স্থানীয় প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে আসতে বলেছি। রাস্তা নির্মাণ ও পিচ ঢালাইয়ের কাজ নিম্নমানের হলে তা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

অন্যদিকে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, এখনো ঠিকাদারের বিল দেয়া হয়নি। সদ্য পিচ করা রাস্তাটি কেন এমন হলো তা আমরা খতিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে এই রাস্তার পাকাকরণের কাজ আবার করা হবে।

কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, কাজের মান খুবই খারাপ হয়েছে। হাত দিয়েই পিচের ঢালাই তলে ফেলা যাচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে সড়কটি খুবই নিম্মমানের হয়েছে। তাই উপজেলা প্রকৌশলীকে রাস্তার কাজটি পুণরায় করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামে ৪ কিলোমিটার সড়কের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই কাঁচা রাস্তা ২০১৯ সালের মে মাসে পাকাকরণের কাজ শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement