২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ফেনীর ৩টি আসন

খালেদা জিয়ার নিজ জেলায় ধানের শীষ পেতে অর্ধশতাধিক প্রার্থী

-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিজ জেলায় ধানের শীষের প্রার্থিতা পেতে অর্ধশতাধিক মনোনয়ন ফরম জমা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, যুবদল নেতা রফিকুল আলম মজনু, সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার নাছির উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন। এছাড়া অনেক নতুন মুখ ও অপরিচিতজনও রয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ফেনী-১ (পরশুরাম-ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফরম উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। বেগম খালেদা জিয়া পৈত্রিক বাড়ির এ আসনে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। সবশেষ ২০১৪ সালে বিএনপি বিহীন নির্বাচনে এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী থাকায় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় বিকল্প প্রার্থী হতে অনেকে দলের আবেদন ফরম জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান নান্টু, জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক মাহতাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মিনার, ভলান্টিয়ার্স অব আমেরিকান কমিউনিটি (বাংলাদেশ)-ইউএস এর প্রেসিডেন্ট আবুল হাসেম বুলবুল, মাসিক হায়দার পত্রিকা সম্পাদক জিয়া হায়দার স্বপন, নুর নবী, তারিফ, শাহজাহান, বাবলা আনোয়ার, আমিনুল ইসলাম, রিয়াল, ব্যারিষ্ট্রার মনোয়ার, হেলাল চৌধুরী এর নাম জানা গেছে।

ফেনী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নে দুইবার ও জাসদ থেকে একবার সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি। এবারো ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে তিনি দলীয় ফরম জমা দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ও কারাবন্দী জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক ছাড়াও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদ মিষ্টার, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর এম এ খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বকুল, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সাইমুন, নুর নবীও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সর্বাধিক প্রার্থী হয়েছে ফেনী-৩ নির্বাচনী এলাকায়। এখানে পৈত্রিক বাড়ির এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি তার ছোট ভাই দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, বিগ্রেডিয়ার (অব:) নাছির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সাবেক সদস্য বেলাল মিল্লাত, বর্তমান সদস্য অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইদ হোসেন চৌধুরী, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদীন বাবলু, বর্তমান সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন শিমুল, সদস্য মোরশেদ আলম সেলিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক সাদরাজ জামান ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম দুলাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আপ্যায়ন সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মাসুদ, দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক রিপন, দাগনভূঞা উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দুলাল, মালয়েশিয়া প্রবাসী পেয়ার আহম্মদ আকাশ রয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement