২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনাগাজীর সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতার মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙের অভিযোগে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খন্দকারকে দলীয় সকল কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এবং সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষে, উপজেলার ৩নং মঙ্গোলকান্দি ইউনিয়নের সভাপতি মীর ইমরানকে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত এক মাস আগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন চৌধুরী এবং আমিরাবাদ ইউনিয়নের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদের প্রকাশ্যে ফেনসিডিল গ্রহণ ও পতিতা নিয়ে বেহায়াপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ফেনী জেলাসহ সারা দেশে এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে।

এক মাসেও প্রশাসন এবং দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দলমত নির্বিশেষে ফেনী সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর এ প্রেক্ষাপটে গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ইফতেখারের বহিষ্কারাদেশ এলো। তবে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

আরো পড়ুন :
ছাত্রলীগ নেতার দেহব্যবসা, অবশেষে পড়ল ধরা
পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
নরসিংদীর পলাশে চাকরির প্রলোভন দিয়ে কিশোরীদের দিয়ে দেহব্যবসা করানোর চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে আনিকা মোর্শেদা নামে এক কিশোরী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার হামিদ, রোকেয়া বেগম ও তার স্বামী সাব্বির হোসেন। এ ঘটনায় পুলিশ আটককৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার এসআই মীর সোহেল রানা।

তিনি জানান, আটককৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় বিভিন্ন অসহায় কিশোরীদের কাজের কথা বলে তাদের বিভিন্ন কায়দায় ব্লাকমেইল করে দেহব্যবসায় বাধ্য করে আসছে। তাদের কথামতো দেহব্যবসায় জড়িত না হলে তারা বিভিন্ন সময় কিশোরীদের মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে নানাভাবে হয়রানি করে থাকত। এরই ধারবাহিকতায় আনিকা মোর্শেদা নামে এক কিশোরীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ঘরে বন্দি করে দেহব্যবসা করার কথা বলে ছাত্রলীগনেতা কাউছার ও তার সহযোগীরা। দেহব্যবসায় রাজি না হলে তারা ওই কিশোরীকে মারধর শুরু করে। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী থানায় মামলা দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, ছাত্রলীগ নেতা কাউছার বিভিন্ন সময় এলাকার অসহায় মেয়েদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কাজ-কর্ম জড়িত হতে বাধ্য করত। কাউছারের মোবইল ফোনে একাধিক নারী পুরুষের অসামাজিক কাজের ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।

অন্যের স্ত্রী নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার চম্পট
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা, ১১ জুলাই ২০১৮
বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা অন্যের বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। গত ঈদের পর দিন পিতা-মাতার আয়োজনে সুমীকে ধূমধাম করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে মেয়ের স্বজনরা জানিয়েছেন।

খলিলুর রহমান পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পদক ও কালমেঘা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। হুমায়রা আক্তার সুমীচরদুয়ানী ইউনিয়নের মো. শাহিন খানের মেয়ে।

স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চরদুয়ানী ইউনিয়নের মো. শাহিন খানের মেয়ে হুমায়রা আক্তার সুমী চট্টগামের একটি কলেজের অনার্স শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৭ জুন পাত্র পাত্রী উভয়ের স্বজনদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিবাহিত মেয়ে রীতিমতো স্বামীর বাড়িতে যান। বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান তাকে নিয়ে সোমবার চম্পট দেন। মেয়ের বাবা পাথরঘাটায় না থাকায় তার দাদা মো. ফজলুল হক খান পাথরঘাটা থানায় বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement