২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদরাসা ভবনে হঠাৎ ধস : অল্পের জন্য রক্ষা পেলো সহস্রাধিক শিক্ষার্থী

দুর্ঘটনা
ধসে পড়া বারান্দার ছাদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও একান্তই বাধ্য হয়ে ভবনটিতে শিক্ষা ও অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হয়েছে রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটি। স্থান সংকুলান না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে এলেও আজ রোববার সকাল ১১টায় হঠাৎ মাদরাসা ভবনের একটি অংশের পলেস্তারা ও বারান্দার ছাদ ধসে পড়ে। এসময় মাদরাসা মাঠে র‌্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য ভবনের না থাকায় রক্ষা পায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জীবন।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, ১৯৬৪ সালে নির্মিত রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদরাসার পুরাতন ভবনটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। স্থানীয় সাংসদ লায়ন এম এ আউয়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার ও রাজনীতিবিদরা দফায় দফায় চেষ্টা করেন নতুন ভবন নির্মাণে।

উপায়ন্তর না দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে মাদাসা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু মাদরাসা সংলগ্ন সাইক্লোন সেন্টারের শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিগত কয়েক বছর থেকে মাদাসা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পুরাতন ভবনেই দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাচ্ছে।

সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য লায়ন এম এ আউয়াল মাদরাসার পুরাতন ভবনের স্থানে নতুন ৬তলা ভবনের জন্য সরকার থেকে প্রকল্প অনুমোদন করান। এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ খবর পেয়ে আজ রোববার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মাদরাসা মাঠ ও রামগঞ্জ সিঅ্যান্ডবি সড়কে আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালি শেষে শিক্ষার্থীরা মাদরাসা উঠার সময় হঠাৎ অষ্টম শ্রেণীর ক্লাশ রুমের সামনে দোতলার বারান্দার একটি অংশ ধসে পড়ে। এসময় মাদাসা কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী আটকে পড়ে।

হঠাৎ ভবন ধসের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ভবন থেকে সরতে গেলে কয়েকজন আহত হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বেশ কয়েকজন অভিভাবক।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আকবর হোসেন জানান, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছি। পুরাতন ভবন সম্পূর্ণ খালি করা হয়েছে।

মাদরাসার অধ্যক্ষ এইচ এম মোশতাক আহম্মেদ জানান, র‌্যালি শেষ করে আমরা মাত্র অফিসে ফিরেছি এমন সময় বিকট শব্দে মাদাসার একটি অংশের পলেস্তারা ও ছাদ মাটিতে খসে পড়ে। শব্দে আমরাসহ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গভর্নিং বডির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত ভবনটি খালি করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যেন দ্রুত মাদরাসা ভবনের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। না হলে কয়েকদিন পর জেডিসি পরীক্ষাসহ পড়ালেখা মারাত্মক ব্যাহত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement