২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লাকসামে সড়কের পাশের ঝোঁপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

শিশু
উদ্ধারকৃত কন্যা শিশুটির নারীও বাঁধা হয়নি। - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার লাকসামে সড়কের পাশের ঝোঁপ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম ভাটিয়াভিটা নামক স্থান থেকে শিশুটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।

জানা যায়, আজ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে লাকসাম ভাটিয়াভিটা এলাকার জাকির হোসেন সকাল ৮টার দিকে ওই সড়ক দিয়ে বাজারে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত স্থান থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। এরপর পাশের ঝোঁপের ভিতর শিশুটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্মরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

উদ্ধারকারী জাকির হোসেন বলেন, ‘চলার পথে হঠাৎ করে শিশুটির চিৎকার শুনে আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। পরে আমার ভাইকে ডেকে এনে রাস্তার পাশ্ববর্তী ঝোপের ভিতর থেকে শিশুটিকে আবিস্কার করি। এ সময় ওই শিশুটির নাকে স্কচটেপ এবং শিশুটির হাতে পায়ে পিপিলিকা ও পোকামাকড়ের কামড়ের রক্তাক্ত চিহ্ন ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে রাতের আঁধারে কে বা কাহারা সদ্য ভূমিষ্ঠ ওই কন্যা শিশুটিকে ঝোঁপের ভিতর ফেলে রেখে যায়। পরে আমি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শিশুটিকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন :
পলিথিনে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা, ০৫ জুন ২০১৮
পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতক কন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার একজন নারী শ্রমিক নবজাতক কন্যাটিকে একটি স’মিল থেকে উদ্ধার করেন।

জানা যায় যে, ধামরাই ইউনিয়নের শরীফবাগ চরপাড়া গ্রামের জুলেখার বাসার ভাড়াটিয়া শাহাজাহান মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মঙ্গলবার সকালে কারখানায় যাওয়ার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাই পৌরশহরের থানা রোডের ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ডের মধ্যবর্তী একটি স’মিলে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পান। এরপর তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। উদ্ধারকৃত কন্যা শিশুটির নারীও বাঁধা হয়নি।

নবজাতক কন্যাটিকে দেখার জন্য স্থানীয়রা উদ্ধারকারী নারী শ্রমিকের বাড়িতে ভিড় করছেন।

হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও মা-বাবা
বিবিসি, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কুমিল্লার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতালের এক নবজাতককে নিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ শিশুটি হাসপাতালের বেডে থাকলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তার মা-বাবাকে।

হাসপাতালের পরিচালক বদিউল আলম বলেন, ‘গত ১৮ আগস্ট হাসপাতালে এসেছিলেন শাহ আলম ও রোকেয়া বেগম দম্পতি। সেখানে রোকেয়া বেগমের ছেলে সন্তান হয়। পরে ২৪ আগস্ট বিকেল থেকে এই দুজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাটি এখন আমাদের কাছে আছে এবং ভালোই আছে। পুলিশও শিশুটির অভিভাবকদের সন্ধান করছে।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানোর পর ঘটনাটি তদন্ত করছেন এস আই ফারুক আহমেদ।

এস আই ফারুক জানান, তিনি শাহ আলমের গ্রামের সন্ধান করে এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি ওই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করেছি। শাহ আলমের ভাইয়ের সাথেও কথা হয়েছে। চেয়ারম্যান শিশুটিকে নেয়ার ব্যবস্থা করতে সহায়তা করবেন জানিয়েছেন।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শাহ আলমের ভাই জানিয়েছেন যে শিশুটি খুবই অসুস্থ থাকায় হয়তো সে বাঁচবে না ভেবেই হয়তো তার ভাই সস্ত্রীক হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন।

শাহ আলমের ভাই মোহাম্মদ মানিক বলেন, শাহ আলম আলাদা থাকতেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ তেমন ছিল না। আমরা এখনো তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। তাদের খোঁজ পাচ্ছি না। তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। বাচ্চাকে হাসপাতাল থেকে আনার জন্য এলাকার চেয়ারম্যানও চেষ্টা করবেন বলেছেন। দেখি কী হয়।

শিশুটির পরিবার বা স্বজনদের কাউকে না পেয়ে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শিশুটির দেখভাল করছে হাসপাতালের লোকজন। হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিলো প্রায় ৭০০ গ্রাম।

নির্ধারিত সময়ের বেশ আগে গর্ভধারণের সাত মাসের মাথায় শিশুটির জন্ম দেন রোকেয়া বেগম। অবস্থা জটিল দেখে ওইদিনই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এর আগে রোকেয়া বেগমের দুটি সন্তান হয়েছিলো কিন্তু একটিও বাঁচেনি।

হাসপাতালের পরিচালক বদিউল আলম বলছেন, ‘তাদের আগের দুটি শিশুও নির্ধারিত সময়ে আগে একটি সাত মাসের, আরেকটি নয় মাসে জন্ম নিয়েছিলো। এবারের শিশুটিও সাত মাসে জন্ম নিয়েছে। আগের দুটি না বাঁচায় হয়তো এবার একই অবস্থা হবে বলে তারা ধারণা করেছিলো।’

এদিকে হাসপাতালের শিশুটির চিকিৎসার ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক লাখ টাকারও বেশি। এ বিষয়েও শাহ আলমের এলাকার চেয়ারম্যান একটি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই।

যদিও বদিউল আলম বলছেন, ‘শিশুটি এখন ভালো আছে। আমরা তাকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দিতে চাই।’


আরো সংবাদ



premium cement