৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পুঁজিবাজারে মিশ্রভাব : সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

-

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে মিশ্রভাব দেখা গেছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরও কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকল। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে। আর সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সিএসইতে কমেছে ৭৯ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেনের মধ্যে প্রথম দুই কার্যদিবসে বড় উত্থান হয়। এর পর মঙ্গলবার বড় পতন হলে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিনই ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। বুধ ও বৃহস্পতিবার সূচকের বড় উত্থানে পার করলে সাপ্তাহিক বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসে। গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আগের দুই কার্যদিবসের মতো লেনদেন শুরুতে ডিএসইতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছিল। এরপর বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। শেষ আধা ঘণ্টার লেনদেনে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। তবে শেয়ারের দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ-হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসএস স্টিলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এডিএন টেলিকম। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ন্যাশনাল টিউবস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং ন্যাশনাল পলিমার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসাবে বাজারটিতে লেনদেন কমেছে ৭৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।
লভ্যাংশ জমা : ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব বছরে ঘোষিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড (নগদ লভ্যাংশ) বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলোÑ আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মা, নিউ লাইন, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, জেনেক্স ইনফোসিস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আমান ফিড লিমিটেড।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর ঘোষিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ক্যাশ শেয়ার হোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। যেসব বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড বিইএফটিএন নেটওয়ার্কসের মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব না তাদের লভ্যাংশ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিজস্ব ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নিজের আইপিওতে বিনিয়োগ করতে পারবে না মার্চেন্ট ব্যাংক
ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংক যে কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনা বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনার কাজ করবে, সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ওই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এমনকি ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও (সিইও) ওই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না।
সম্প্রতি ‘মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা, ১৯৯৬’-তে এমন সংশোধনী এনে গেজেট প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৪-এর উপধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এ সংশোধনী এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এতে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের বা স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো স্টেকহোল্ডারের বা কোনো সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির বা কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবে জড়াতে পারবেন না।
শর্ত থাকে যে, কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকার ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে যেই কোম্পানির ইস্যুর ব্যবস্থাপনা করবে, সেই কোম্পানির কোনো সিকিউরিটিজ সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংকার বা এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও ক্রয় বা অন্য কোনোভাবে গ্রহণ করতে পারবেন না। এতে আরো শর্ত রাখা হয়েছেÑ ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকারের শেয়ারহোল্ডার বা উদ্যোক্তা বা পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’ ‘আনারসের পাতা থেকে সিল্কের জামদানি শাড়ি আশার আলো জাগাবে’

সকল