২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলীতে পদওয়ারি শিক্ষক নিয়োগ ও সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন

আমতলীতে পদওয়ারি শিক্ষক নিয়োগ ও সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন - ছবি : সংগ্রহ

বরগুনার আমতলী উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদওয়ারি শিক্ষক নিয়োগ ও সমন্বয় করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে অভিভাবকবৃন্দ। বুধবার সকালে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মো: হাসান মৃধা, ইফতেখার রসুল সোহাগসহ অভিভাবকরা। বক্তারা অভিযোগ করেন, আমতলী উপজেলায় ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল থাকায় অত্র উপজেলায় প্রায় সকল শিশুরাই বিদ্যালয়গামী। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সন্তোষজনক। কিন্তু সরকারিদলের প্রভাবশালী নেতাদের কারণে উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোঠাওয়ারি বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বৈষম্য চোখে পড়ার মতো।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু সরকারি এ নিয়মকে অমান্য করে পৌরসভার বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে ২১ জন, একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৮ জন ও ছুড়িকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে ৯ জন। এ তিনটি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৩৬ জন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখানে শিক্ষক থাকার কথা ২৯ জন। বর্তমানে সেখানে শিক্ষক আছে ৪৮ জন।

এ সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে উপজেলার শিক্ষা কমিটির সদস্য ও সরকারিদলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের শিক্ষকদের নিয়োজিত রেখেছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ঠিকমত পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না।

শহরের বিদ্যালয়গুলোতে স্থানীয় সরকারীদলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ২০১৭ সালের পূর্বে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়সমুহের শিক্ষকদের কোঠা বাদ দেন। শহরের বিদ্যালয়গুলোতে অতিরিক্ত কোঠা তৈরি করে সেখানে শিক্ষক নিয়োজিত রেখেছেন। এরফলে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মজিবুর রহমান মোবাইলফোনে উল্লেখিত অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে বলেন, ২০১৭ সালের আগে উপজেলা শিক্ষা কমিটি গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোঠা বাদ দিয়ে শহরে নিয়ে আসার কারণে পৌর শহর ও এর কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোঠা বেশি রয়েছে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো: মিজানুর রহমান বলেন, এ রকম অনিয়ম হলে তা তদন্ত করে সমন্বয় করা হবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অনতিবিলম্বে প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে সরকারি নিয়ম-অনুযায়ী আমতলী উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও সমন্বয় করার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement