২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতনের অর্ধেক টাকা ঘুষ না দেয়ায় চাকরিচ্যুত করলেন অধ্যক্ষ!

প্রতীকী ছবি - সংগৃহীত

ঘুষ তার খুব পছন্দ। না হলে নাকি চলেই না। তাও আবার যেনতেন ঘুষ নয়, ঘুষ হিসেবে তার চাই মাসিক বেতনের অর্ধেক টাকা! ঝালকাঠি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানার বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানের একজন ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের কাছে মাসিক বেতনের অর্ধেক টাকা ঘুষ হিসেবে দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ভূক্তভোগী ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের নাম গিয়াস উদ্দিন। তার মাসিক বেতন ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আর অভিযোগ দায়ের করার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করেন অধ্যক্ষ।

অভিযোগে জানা যায়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনস্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দক্ষ ড্রাইভিং (এসইআইপি) প্রকল্পর আওতায় ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ড্রাইভিং প্রশিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে ওই পদে আবেদন করেন ঝালকাঠি শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের মোঃ গিয়াস উদ্দিন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়াস উদ্দিন ড্রাইভিং প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।

নিয়োগের শর্তানুযায়ী প্রতিকর্ম দিবস ১২০০ টাকা হিসেবে মাসে ২২ কর্মদিবস ধরে বেতন নির্ধারণ করা হয় ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। গিয়াস উদ্দিন গত ১ জানুয়ারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদান করেন। গত ১৬ মার্চ গিয়াস উদ্দিনকে জানুয়ারি মাসের বেতনের চেক প্রদান করা হয়।

বেতনের চেক প্রদানের পর অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা প্রশিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে আপনি ১২ হাজার টাকা নিবেন, বাকি টাকা আমাকে দিয়ে যাবেন। আমি যা বলি তা শুনতে হবে। আমার কথা শুনলে সারা জীবন চাকরি করতে পারবেন, আর না শুনলে আপনাকে অব্যহতি দিয়ে দেব।

এ কথা শুনে গিয়াস উদ্দিন অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানাকে বলেন, নিয়োগের শর্তনুযায়ী আমাকে ২৬ হাজার ৪০০ টাকা বেতন দিতে হবে। গিয়াস উদ্দিন অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানার অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ে ও ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের খবর শুনে ক্ষিপ্ত হন অধ্যক্ষ। এরপর তিনি গত ৩১ মার্চ ড্রাইভিং প্রশিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেন।

এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি বৈধভাবে পরিশ্রম করে যে বেতন পাবো, তার অর্ধেক টাকা কেন ঘুষ হিসেবে চাইবেন অধ্যক্ষ? আমি ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি। আমি চাকরি ফিরে পেতে চাই।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কর্মে অদক্ষতা এবং প্রশিক্ষণকালে কেন্দ্রে ধূমপান করার কারণে তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল