২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
‘সবাই ‘দেখছি’ বলেই ক্ষান্ত’

কত দিন ঘরে বন্দী থাকা যায় : মেজর হাফিজ

ভোলা-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদ - ফাইল ছবি

ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমুদ্দিন) আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ নিজ বাড়িতে ১০ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রচারে বের হয়ে আবারো বাধার মুখে পড়েছেন। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী তাঁকে এক ঘণ্টা আটকে রাখেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়।

মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বলেন,‘সকাল সাড়ে ৯টার সময় প্রচারে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। নিজে একা একা, গাড়ি নিয়ে। সাথে চারজন পুলিশ ছিল। লালমোহন উপজেলার সামনে রাস্তার মধ্যে (ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক) যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা লীগের ২-৩ হাজার সমর্থক অস্ত্রসহ আমাকে চারপাশ দিয়ে আটকে ফেলে। আমি ইউএনওকে বললাম, নৌবাহিনীকে আসতে বলার জন্য। তারাও আসেনি। আমি রাস্তার ওপর গাড়িতে এক ঘণ্টা বসেছিলাম। যখন দেখলাম, পুলিশ অপারগতা প্রকাশ করছে, রাস্তা পরিষ্কার করতে পারবে না। আমাকে প্রচারণা করতে দেবে না, তখন ফিরে আসছি। সবাই ‘দেখছি’ বলেই ক্ষান্ত। আমি ১০ দিন অবরুদ্ধ, কত দিন ঘরের ভেতর বন্দী থাকা যায়!’

মেজর (অবঃ) হাফিজের অভিযোগের বিষয়ে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, ১০ বছর পর এলাকায় এসেই বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছেন।

এদিকে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘আমরা কি এখন লাঠিচার্জ করব? আমরা প্রার্থীকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।’

ভোলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন,‘মেজর হাফিজ উদ্দিন যখন আমাকে বললেন, আমি ইউএনওকে বলে দিয়েছি, ইউএনও বিজিবির ব্যবস্থা করেছে, তারপর উনি বের হয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন,‘এখন হাজার লোক তাঁকে (হাফিজ উদ্দিন) ঘিরে ধরছে, তাদের তো আর সরানো যাবে না, মারপিট করা যাবে না। যদি আক্রমণমুখী না হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement