২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত আশা মণি

অপহৃত আশা মণি ও অভিযুক্ত অপহরণকারী সাইফুল - সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় আশা মণি (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী অপহৃত হওয়ার পর এক মাস পার হলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ভান্ডরিয়া থানায় অভিযুক্ত বখাটে মোঃ সাইফুল খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।

অপহৃত মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, গত ১ অক্টোবর একই গ্রামের সাইফুল খান ও তার সহযোগিরা মিলে আশা মণিকে অপহরণ করে।

পরে অপহৃত আশা মণির মা ও স্কুল শিক্ষিকা শামীমা বেগম থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) গ্রহণ করে। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে গত ১৬ অক্টোবর একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।

তবে পুলিশ ঘটনার এক মাস পার হলেও অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মিরণ মল্লিক ও স্কুল শিক্ষিকা শামীমা বেগমের বড় মেয়ে আশা মণি স্থানীয় ধাওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছিল। মেয়েটির বাবা মিরণ মল্লিক চাকরির সুবাদে ঢাকায় ও তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা বেগম দুই মেয়ে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন।

এই সুযোগে একই গ্রামের নাছির খানের বখাটে ছেলে মোঃ সাইফুল খান বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই আশা মণিকে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মেয়েটির মা বখাটের পরিবারের কাছে নালিশ জানালে উল্টো শামীমা বেগমকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়।

জানা যায়, এর আগেও একবার বখাটে সাইফুল আশা মণিকে অপহরণ করে একটি ঘরে আটকে রাখে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে নির্বিঘ্ন পড়াশোনো নিশ্চিত করতে আশা মণিকে পিরোজপুর জেলা সদরের পাড়েরহাট বন্দরে শেখ হাসিনা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়।

গত ১ অক্টোবর স্কুল ছাত্রী আশা মণিকে বাড়িতে রেখে মা শামীমা আক্তার কর্মস্থলে যান। কিন্তু বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে তিনি মেয়েকে খুঁজে পাননি। পরে তিনি প্রতিবেশীদের নিকট থেকে জানতে পারে যে, তার মেয়েকে অভিযুক্ত বখাটে সাইফুল খান অপহরণ করেছে। এরপর তিনি ভান্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা শামীমা আক্তার বলেন, অপহরণের ঘটনার পর ভান্ডারিয়া থানায় মেয়েকে উদ্ধার চেয়ে একটি অপহরণ মামলা দিতে গেলে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরী নেন। তিনি আরও বলেন, মেয়ে উদ্ধারের জন্য বরিশাল র‌্যাব-৮ সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে অদ্যবধি মেয়ের সন্ধান মিলছেনা।
পরে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানালে গত ১৬ অক্টোবর ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ওসি মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, মেয়েটির মা প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে, পরে বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মেয়ের মা শামীমা আক্তার মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করার জোর প্রচেষ্টা চলছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement