দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শহরের সড়কগুলো। ফলে পৌরবাসীদের অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেহাল হয়ে পড়া এ রাস্তাগুলোতে দুর্ঘটনা নিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এক পশলা বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। এ ছাড়া পৌর শহরের ৯ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায় পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে সড়ক জুড়ে অগনিত গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
এ ছাড়া গোটা পৌর শহরে রাস্তা কেটে পানির লাইন তৈরি করার পর সংস্কার না করার ফলে রাস্তাগুলো আরো বেহাল হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী ও শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের সরকারী পুকুর গুলো উদ্ধার করা হলেও বেদখল হয়ে যাওয়া অন্য পুকুরগুলো উদ্ধারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পুকুরগুলোর পানি ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
পৌর শহরের সিংহভাগ খাল, শতাধিক পুকুর ও ডোবা- নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টি হলেই পৌর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ব্যক্তিগত মনে করে অনেকে পুকুর, জলাশয় ও ডোবা-নালা ভরাট করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও অনুমতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত বালু দিয়ে এসব ভরাট করা হচ্ছে।
পাথরঘাটা আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পৌরশহরের উকিলপট্টির রাস্তা ড্রেনের পানিতেই তলিয়ে থাকে। কোন লোকজন ও গাড়ি চলাচল করতে পারেনা। এরাস্তা দিয়ে গেলে অনেক সময় ড্রেনে পরে যায় লোকজন। মেয়র কাউন্সিলরদের অবস্থার পরিবর্ত হলেও পৌরশহরের রাস্তার কোন পরিবর্তন হয়না।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন নয়াদিগন্তকে বলেন, পৌরসভার তহবিল সংকট থাকার কারনেই এসব রাস্তা মেরামত করা সম্বব হচ্ছে না। মন্ত্রনালয় থেকে যে বরাদ্ধ পাই তা চাহিদার চেয়ে অনেক কম। তবে ইতমধ্যেই কিছু রাস্তার দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা