০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বরগুনায় পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরীতে ব্যস্ত কামারশিল্পীরা

দা-ছুরি তৈরিতে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা - ছবি: নয়া দিগন্ত

বরগুনার কামারশিল্পীরা উপকরনের অভাব, কারিগরদের স্বল্প মজুরী, বিক্রি মুল্য কম, কয়লার দাম বেশীসহ প্রতিকুল পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দা, কুঠার, ছেনি, চাপাতি, কাটারী ও ছুরি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

বরগুনা সদরসহ ৫ টি উপজেলার হাট বাজারে কোরবানী গবাদিপশু জবাই করতে এবং মাংস তৈরীতে দা, কুঠার, ছুড়ি, চাপাতি ও কাটারী বেশি প্রয়োজন। কামার পাড়ায় রাতভর টুংটং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের প্রসারে ও বহুমাত্রিক সমস্যার কারনে গ্রাম বাংলার সেই কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

গত এক যুগ পূর্বে বরগুনা সদর’উপজেলায় দু’শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে বরগুনা, বালিয়াতলী, নলটোনা, পচাঁকোড়ালিয়া, ছোটবগী, কচুপাত্রা, আড়পাঙ্গাশিয়া, তালুকদার বাজার, গাজীপুর, চুনাখালী ও গোছখালীতে অর্ধশতাধিক পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে। এ প্রজন্মের অনেক পরিবারের সন্তানরা এ পেশায় আসছে না।

শনিবার বরগুনার কর্মকার পট্রি ঘুরে দেখা গেছে, কামার কারিগড়রা দা, বটি, কুঠার, ছেনিসহ প্রয়োজনীয় লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিক্রি তেমন ভালো না হলেও তারা লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করে পশরা সাজিয়ে বসে আছেন। দু’একজন ক্রেতা এসে দর কসাকসি করে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে পুরাতন দা, বটি ও ছেনি মেরামত করতে এসেছেন।

কামার শিল্পী গৌরঙ্গ কর্মকার বলেন পৈত্রিক ভাবে এ পেশায় এসেছি। এ বৃদ্ধ বয়সে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন আমাদের সন্তানরা এ পেশায় আসতে চাচ্ছে না।
বরগুনার শ্যাম কর্মকার বলেন, “বাব-দাদায় এই কাম হরছে এ্যহোন মোরাও হরি। এই বুড়া বয়সে এ্যাহন আর পারছি না”।

গাজীপুর বাজারের বাসু কর্মকার, বিমল কর্মকার ও শম্ভু বলেন, বর্তমানে এক বস্তা (আগাছা) কয়লার দাম ৩৫০ টাকা এবং সুন্দরী গাছের কয়লা ৬ শত টাকা বস্তায় কিনতে হচ্ছে। বর্তমানে কয়লা ও লোহার পাতের দাম বেশী হওয়াতে যন্ত্রাংশ তৈরীতে যে খরচ হয় সেই তুলনায় দাম পাচ্ছি না।

চুনাখালীর নিতাই কর্মকার জানান, বাজারে ভাল লোহার দা কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৫০০/৬০০ টাকা, প্রকারভেদে প্রতিটি ছুড়ি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাটারী ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।
তালুকদার বাজারের কালি দাস কর্মকার জানান গত বছরের তুলনায় এ বছর দা. চাকু ও কুঠার বেশী বিক্রি হচ্ছে।

একে স্কুল এলাকার ক্রেতা নিজাম মিয়া ও খালেক বলেন,পুরাতন দা ও বটি মেরামত করতে এসেছি ।
কর্মকার সমিতি’র সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তি’র বিকাশ ঘটায় গ্রাম বাংলার সেই কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারীভাবে উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানাই।


আরো সংবাদ



premium cement
সিদ্ধিরগঞ্জে হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, আতঙ্ক জাতিসঙ্ঘ প্রধানকে দ্বিতীয়বারের মতো গাজায় প্রবেশে বাধা দিলো ইসরাইল টানা তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নোয়াখালীতে অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলবিরোধী সমাবেশ থেকে গ্রেফতার প্রায় ২৫০০ কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দাগনভুঞা উপজেলা চার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহ্জাদা মিয়ার জামিন হামাসের সাথে চুক্তির ব্যাপারে মিসরীয় প্রস্তাব মেনে নিন : ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ের ল’ফার্ম নিয়োগ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সকল