৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


  মঠবাড়িয়ায় শতাধিক জেলে পরিবার অনাহারে

-

উপকূলীয় মঠবাড়িয়ায় বুলবুলের আঘাতে প্রায় ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুলবুলের তাণ্ডবে বলেশ্বর নদ তীরবর্তী খেতাছিরা, কচুবাড়িয়া, ভাইঝোড়া ও বড় মাছুয়া জেলে পাড়ায় শতাধিক জেলে পরিবার অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে বলেশ্বর নদীর তীব্র জোয়ারের পানির চাপে জেলেদের বাড়িঘরের সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ পরিবারের মধ্যে কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল অপ্রতুল। ্্্্এ দিকে উপজেলায় বুলবুলের আঘাতে প্রায় পাঁচ হাজার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আঠারোটি গবাদিপশু মারা গেছে। দেড়শত মৎস্যচাষের পুকুর ও ঘের ডুবে গেছে এবং ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্তানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ায় উপজেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝড়ে উপজেলার পাঁচ সহস্রাধিক কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমন ধান সাত হাজার হেক্টর, পান ত্রিশ হেক্টর, সরিষা দুই হেক্টর, ফল ও শাক সবজি ক্ষেতসহ দুই শত হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষি অফিসের হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে উপজেলার একশত পঞ্চাশ মৎস্য খামার পুকুরের ঘের তলিয়ে পঁয়ত্রিশ লাখ টাকার মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement