২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ময়লা-আবর্জনার গন্ধে দুর্বিষহ পাথরঘাটা পৌরবাসীর জীবন

পাথরঘাটা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে ময়লার স্তূপ :নয়া দিগন্ত -

বরগুনার পাথরঘাটা পৌরশহরের ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনার গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ থেকে স্কুল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতও রেহাই পাচ্ছে না। ফলে জনসাধারণ দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পৌরসভার সাধারণ মানুষের দাবিÑ ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
পাথরঘাটা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো শহরে নেই কোনো ডাস্টবিন। এসব ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে দুর্গন্ধ আরো তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যবসায়ী ও পথচারীরাও। পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র কালিমন্দিরের পেছনে পুকুরের পাশে ময়লার স্তূপ করে রাখার কারণে পুরো শহরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। পুকুরের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই পানি পৌর শহরের মানুষ তাদের সব কাজে ব্যবহার করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাথরঘাটা পৌরশহরের লিকারপট্টির পূর্ব মাথায় সব রেস্টুরেন্টের বর্জ্য ফেলায় পাশের রাস্তা দিয়ে দুর্গন্ধে মানুষ হাঁটাচলা করতে পারে না। পাথরঘাটা পৌর পরিষদের দক্ষিণ পাশে প্রতিদিন মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে। ওই একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে পাথরঘাটা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেতে হয় এবং এর পাশেই তাদের বিদ্যালয়। দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারে না। পৌরশহরের পুরনো সোনালী ব্যাংকের পেছনের সরকারি পুকুরে বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে স্থানীয় জনসাধারণের বসবাস করা দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিকবার মেয়র ও কাউন্সিলরদের বললেও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
পাথরঘাটা পৌরশহরের বাসিন্দা মিলন, খোকন, জয় বিশ্বাস বলেন, এই বাজারে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। বাতাস বেশি থাকলে ঘরের ভেতরে পর্যন্ত দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। আমরা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছি। এখানে বিক্রেতারা যত্রতত্র ময়লা ফেলছে। ফলে দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পথচারী ও বাসবাসকারীরা। পৌরশহর থেকে অনেক দূরে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য জোর দাবি জানান তারা।
পাথরঘাটা আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমি, মিম, তানজিলা জানায়, দুর্গন্ধের কারণে তাদের স্কুলে যাতায়াত করতে খুব সমস্যা হয়। তারা পৌরশহরের এমন পরিস্থিতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রোকনুজ্জামান রুকু বলেন, পাথরঘাটা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২৭ বছর, কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে পৌরবাসীর জন্য যে কাজগুলো করা দরকার নানা সীমাবদ্ধতার জন্য আমরা তা করতে পারছি না। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো স্থান নির্ধারণ করতে পারিনি, যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হবে। আমরা সবাই মিলে একটা নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার চেষ্টা করব, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement