শ্রীলঙ্কায় আবারো মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দেশটির পশ্চিম উপকূলীয় চি’ল শহরের একটি মসজিদে পাথর নিক্ষেপ করেছে শ’খানেক লোক। এসময় তারা মুসলমাদের দোকানপাটেও হামলা চালিয়েছে। পিটিয়েছে স্থানীয় এক মুসলমান নাগরিককে। উল্টো পুলিশ আবার সেই ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করেছে। চি’ল শহরটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত।
তিন সপ্তাহ আগে শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে হামলায় আড়াই’শর বেশি লোক নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে উত্তেজনা চলছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠন আইএস। ওই ঘটনার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর হামলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের হেনস্থা করার খবরও আসছে। গত সপ্তাহেও দেশটিতে বেশ কিছু জায়গায় মুসলমানদের ওপর হামলা হয়েছিল।
পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা রয়টার্সকে বলেছন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চি’ল শহরে তাৎক্ষণিকভাবে আগামীকা ভোর ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সর্বশেষ এই হামলা ফেসবুকে বিতর্কের জের ধরে হয়েছে বলে জানা গেছে। রয়টার্স এক স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছে যাতে দেখা গেছে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী সিংহলিজ ভাষায় লিখেছে ‘আমাদের কাঁদানো সহজ নয়’ এর সাথে তিনি মুসলমানদের উদ্দেশ্যে একটি গালি দেন।
এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে হাসমার হামিদ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছন, বেশি হেসো না, তাহলে কাঁদতে হবে। পরে পুলিশ হাসমার হামিদকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ বলেছে, ৩৮ বছর বয়সী হাসমার হামিদের মন্তব্যকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে তার ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীরা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই বিতর্কের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
স্থানীয় এক নাগরিক বলেন, এরপর তারা তিনটি মসজিদে পাথর নিক্ষেপ করে। মুসলমানদের দোকানেও হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। তবু আমরা আতঙ্কে আছি।
ওই ব্যক্তি ভয়ের কারণে নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। হামলা একটি মসজিদ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি জানান। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে কয়েক ডজন লোক একত্রিত হয়ে একটি কাপড়ের দোকানে হামলা চালাচ্ছে। দোকানাটির মালিক গ্রেফতারকৃত হাসমার হামিদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা