২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে উত্তর কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে উত্তর কোরিয়া - সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়ায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে, দেশটি সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও মার্কিন সরকার ‘পুরনো অভিনয় লিপি’ অনুসরণ করে যাচ্ছে। এর ফলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বলে ওই মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটি সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এরইমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে, ১৯৫০-এর দশকের কোরীয় যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে এবং একটি পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করেছে। মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, সাবেক মার্কিন প্রশাসনগুলো যে নীতি অনুসরণ করে ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন সেই একই নীতি অনুসরণ করছে।

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘ এবং আমেরিকার পক্ষ থেকে বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে। ওয়াশিংটন দাবি করছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে উত্তর কোরিয়াকে তার সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে।

গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সিঙ্গাপুরে এক নজিরবিহীন বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে সম্মত হন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া কখনোই একথা ঘোষণা করেনি যে, দেশটি এককভাবে তার সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করবে।

গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘের ফাঁস হয়ে যাওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পিয়ংইয়ং এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার আহ্বান জানায়।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জের ধরে অনেকে মনে করছেন, দেশটি আবার তার মার্কিন বিরোধী কঠোর অবস্থানে চলে যেতে পারে।

ধোঁকা খেয়েছে উত্তর কোরিয়া?

২৫ মে ২০১৮

উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু পরীক্ষার স্থাপনা ধ্বংস করেছে। বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পরমাণু পরীক্ষার স্থাপনাটি ধ্বংস করে পিয়ংইয়ং সরকার। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পূর্ব ঘোষিত বৈঠক বাতিল করেছেন।

আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে, শীর্ষ বৈঠকের কথা বলে নানা কৌশলে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে দিয়ে পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করিয়ে তারপর ট্রাম্প বৈঠক বাতিল করলেন কিনা।

উত্তর কোরিয়ার পাহাড়ের ভেতরে অবস্থিত পাঙ্গি রি স্থাপনা ধ্বংস করে পিয়ংইয়ং। এ সময় সেখানে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৈঠকের প্রতি আন্তরিকতার প্রমাণ স্বরূপ পরমাণু পরীক্ষার স্থাপনা ধ্বংসের কথা ঘোষণা করেছিলেন কিম জং উন।

উত্তর কোরিয়া পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠকে বসলেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ ঘটনায় মার্কিন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো কমে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরসরাই প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি মিঠু, সম্পাদক মাঈন আইসিসির সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে প্রভাবিত করবে না : নেতানিয়াহু শনিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে ডাসারে শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের শরবত বিতরণ কর্মসূচি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক বাধা দূর করতে সম্মত ভুটান ও বাংলাদেশ চরমোনাই পীরের অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেল জামায়াতের প্রতিনিধি দল ব্যাঙ্কিং খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা

সকল